প্রশান্তি ডেক্স॥ সিঙ্গাপুরের স্পট মার্কেট থেকে কেনা এলএনজি গত বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বন্দরে আনলোড শেষ হয়েছে। এর আগের দিন শুরু হয় আনলোড কার্যক্রম। সূত্র জানায়, এর ফলে দেশে গ্যাস সরবরাহ আরও বাড়বে। সিঙ্গাপুরের স্পট মার্কেট থেকে কেনা ৬০ মেট্রিক টন এলএনজি নিয়ে জাহাজটি দেশে এসেছে।
পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, এখন এলএনজি সরবরাহের পরিমাণ সাড়ে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুটের কাছাকাছি। দুদিন আগেও যা সাড়ে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট ছিল।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সঞ্চালন লাইনে এলএনজি সরবরাহ হয়েছে ৪৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, ২০ ফেব্রুয়ারিতে ৪৯০, ২১ ফেব্রুয়ারি ৫২৯ এবং ২২ ফেব্রুয়ারি তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৪৭ মিলিয়ন ঘনফুট। গত (২৩ ফেব্রুয়ারি) এলএনজি আনলোড শেষ হলে আগামী সপ্তাহ থেকে সরবরাহ আরও বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে।
আরপিজিসিএল-এর এলএনজি ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম বলেন, জাহাজটিতে ৬০ মেট্রিক টন এলএনজি রয়েছে। যা ৩০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সমান। তিনি বলেন, স্পট মার্কেট থেকে পরবর্তী কার্গো আসবে ১১ মার্চ। অন্য কার্গোগুলো আসার শিডিউল এখনও ঠিক হয়নি। তিনি জানান, স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আসার পর সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে।
পেট্রোবাংলা জানায়, স্পট মার্কেট থেকে ৮ কার্গো এলএনজি আমদানি করা হবে। যা দিয়ে গ্রীষ্মের চাহিদা মেটানো হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে এলএনজি আমদানি শুরু করে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল কাতারের রাস গ্যাস প্রথম এলএনজি কার্গো সরবরাহ করে। ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি কার্গো আসে ওমান থেকেও। দেশীয় কোম্পানি সামিট এলএনজি ও যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলারেট এনার্জির স্থাপন করা ভাসমান টার্মিনালের (এফএসআরইউ) মাধ্যমে আমদানি করা এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে। এরপর ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর খোলাবাজার থেকেও এলএনজি আমদানি শুরু করা হয়।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের শেষ দিকে সরকার স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ করে দিলে দেশে জ্বালানি সংকট দেখা দেয়। এতে বিদ্যুতে শিডিউল লোডশেডিং করা হয়। সরকারের তরফ থেকে একঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা বলা হলেও প্রকৃত লোডশেডিং তার চাইতে বেশি ছিল। এবারের গ্রীষ্মে লোডশেডিং এড়াতে ও বিদ্যুতে গ্যাস সরবরাহ ঠিক রাখতে আবারও স্পট মার্কেটের এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এখন স্পট মার্কেটের এলএনজির দামও কমে আসছে।