ক্ষমতাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে এখন বিশ্ব রাজনীতির চক্রান্ত। দেশে বিদেশে এই ক্ষমতাকেন্দ্রীক রাজনীতির ইতিবাচক এবং নেতিবাচক সকল কিছুই মিডিয়াক্রান্ত হয়ে মানসপটে ভাসমান। পৃথিবীর মানুষগুলো যেন এই ক্ষমতার নিষ্পেষনে নি:শেষ হয়ে সুন্দর এই অপরূপ পৃথিবীকে বিদায় বলতে বাধ্য হচ্ছে। যদিও কেউ কেউ বিদায় বলছে আবার কেউ কেউ এই বিদায় বলার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। মানুষ মানুষের কল্যাণে বা সৃষ্টির কল্যাণে নিবেদিত হওয়ার ক্ষেত্রে যেনো ভাটার টানে এখন মানুষের জীবন নাশে লিপ্ত। তবে এই পৃথিবীর টালমাটাল ক্ষমতা কাউকেই রেহাই দিবে না। আজ আমাকে আর আগামীকাল আপনাকে। তাই সকলকেই সময় থাকতে ভেবে চিন্তে সময়োচিত পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানাচ্ছি। ক্ষমতা কাউকেই আপন করেনি এবং করবেও না। ক্ষমতার পালাবদলে ব্যবহৃত হওয়ারা আজ ইতিহাসে নিস্পেষিত এবং কেউ কেউ নিষ্কলূষ কিন্তু সমালোচনা ও অপবাদের উর্দ্দে নয়। তাই বর্তমানের ক্ষমতা থেকে সাবধান!।
ক্ষমতায় টিকে থাকার মহড়ায়ও মাতোয়ারা জাতি। যার যার অবস্থান থেকে এই ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরে পাকাপোক্তকরণে মশগুল সৃষ্টির সেরাজীবেরা। আজ বা কাল পৃথিবীর মায়া, ক্ষমতার মোহ এবং অর্থ ও বিত্তকে ছেড়ে শুন্য হাতে ফিরতে হবে, হয়েছেও। তবে কেউই এই ক্ষমতা এবং অর্থ ও বিত্ত্ব এবং বৈভবকে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেনি এমনকি আর পারবেও না তবে ঐ অর্জিত ঘৃণা এবং বদনাম অথবা নেতিবাচক দৃষ্টান্তকে পরিস্কার অথবা ইতিবাচকতায় পরিপুর্ণ করে যেতে পারেনি কেউ। এই অবস্থা দেখে এবং অবস্থার কাছ থেকে কেউ শিক্ষাও নেয়নি এবং নেয়ার চিন্তাও করেনি এটাই হলো চরম বাস্তবতা। এই বাস্তবতার মাঝেই এখন সত্য ও মিথ্যা এবং সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা এবং অভিপ্রায় লুকায়িত। তাই এই লুকায়ীত অভিপ্রায়কে খুজে বের করে বিবেক বিবেচনায় এমনকি নীতি ও নৈতিকতায় চীর জাগ্রত করে রাখতে হবে। আর এই ক্ষেত্রে খোদার কালাম (স্ব স্ব ধর্মের বানী) নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে। তবে খোদা তায়ালার ইচ্ছা, আকাঙ্খা এবং অভিপ্রায় বুঝার জন্য প্রয়োজন খোদার সান্নিধ্য এবং এই সান্নিধ্য লাভের জন্য প্রয়োজন নিজেকে সম্পূর্ণরূপে খোদার কাছে সমর্পন। এইসব ক্ষেত্রে নিস্পাপ মানুষের বিসর্জন এর প্রয়োজনীয়তা এবং নিস্পাপ মানুষের আগমন ও প্রস্থানের সন্ধান জরুরী হয়ে পড়েছে। কে সেই নিস্পাপ মানুষ; কিভাবে তাঁর আগমন ও প্রস্থান। কেন আল্লাহ তায়ালা এই নিস্পাপ মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন আর এই পাঠানোর পিছনে তাঁর কি পরিকল্পনা ছিল। সবই এখন প্রকাশিত এবং সবই এখন দৃশ্যমান তাই এই প্রকাশিত কালাম এবং এর দৃশ্যমানতা থেকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে নিজ নিজ প্রয়োজনকে কাজে লাগানোর উপযুক্ত সময়। তাই সময় ও সুযোগকে কাজে লাগানো এখন আমার ও আপনার এমনকি প্রত্যেকেরই দায়িত্ব।
চীন, তাইওয়ান, জন্মু, কাশ্মির, ইসরাইল, ফিলিস্তিন, আফগানিস্থান, ইরান, ইউক্রেইন, রাশিয়াসহ সমগ্র বিশ্ব এখন বেপরোয়া শুধু ক্ষমতার চাকচিক্যের প্রয়োজনে। কিন্তু জীবনের প্রয়োজনে মানুষজন ব্যস্ত নন এমনকি চিরস্থায়ী জীবনের প্রয়োজনকেও পাত্তা দিচ্ছেন না বরং স্বল্পসময় এমনকি অস্থায়ী জীবনের প্রয়েজনের দিকেই মানুষ দৌঁড়াচ্ছে। প্রাকৃতিক এবং মনুষ্যসৃষ্ট সমস্যাকে পাত্তা না দিয়ে বরং নিজেরাই নিজেদের জীবনে বড় ধরণের সমস্যা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। যার ভোক্তভোগী এখন সৃষ্টির সেরাজীব আশরাফুল মাখলুকাত। পৃথিবীকে দেখাশুনা এবং শাসনের অধিনে আনার জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা এই মানব জাতীকে সৃষ্টি করে আশীর্বাদ করেছেন স্ব স্ব জাতিকে বংশবিস্তারের পূর্ণ ক্ষমতা প্রদান করেছেন। কিন্তু এই সকলের পিছনের দিক বিবেচনায় নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার মানুষ নেহায়েতই কম। পৃথিবীর আয়ু ফুরিয়ে যাচ্ছে যেমনিরূপে মানুষের আয়ূও ফুরিয়ে যাচ্ছে। তবে পৃথিবীর শেষ সময়ের আবর্তনে মানুষ যেমন দিশেহারা ঠিক তেমনি পৃথিবীও তাঁর গাতি প্রকৃতি এমনকি স্থীতিশীলতাকে ভেঙ্গে চুড়ে তছনছ করে দিয়ে যাচ্ছে। যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উম্মাদনায় টালমাটাল অবস্থার দৃশ্যমানতা বিরাজমান রয়েছে। সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে পুজি করে সামনে এগুলে হয়তোবা পৃথিবীর বিরূপ আচরণে স্বীকার থেকে রক্ষা মিলবে এবং চিরস্থায়ী শান্তির নিশ্চয়তায় নিরাপদ আবাস্থল পাকাপোক্ত হবে। তবে এই কাজে মনোযোগী হওয়ার উপযুক্ত সময় এখনই।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে এই চলতি কথার বাস্তবতায়ও শতভাগ মিল রয়েছে। এইদেশে রাজনীতিতে অনেকেই এসেছে এবং চলেও গেছে কিন্তু কয়জনইবা রাজনীতির নীতিকে আঁকড়ে ধরে জনমানুষের আকাঙ্কা পুরন করেছে। আর কতজনইবা করবে তার কোন হিসেব কষা সহজ নয়। তবে এই নিয়তির নির্মমতাই ইতিহাসের স্বাক্ষীতে ঐ সকল রাজনীতিবিদদের জীবন ও কর্ম এবং ভাল ও মন্দ আজও চলমান। যে বা যারা মানুষের প্রয়োজনে সৃষ্টির কল্যাণে এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশীর প্রয়োজনে রাজনীতি করেছেন এবং সেবার দায়িত্ব নিয়েছেন তাদের ইতিহাস অমরত্বই আগামীর শিক্ষা এবং দিক্ষা হিসেবে জলন্তভাবে মানসপটে চীর অমর। ঐ চির অমরদের কাহিনী এবং কাব্যগাথা জীবন আগামীর স্বপ্নকে জাগ্রত রাখতে ভুমিকা রাখছে। সেই দিক বিবেচনায় বলা যায় পুরোনো চালে ভাত বাড়ে বৈকি কমে না। সেই সুত্রের আলোকে পুরোনো রাজনীতির নিতি নির্ধারকদের রচনায় এবং জাগ্রত পরিচালনায় দৃশ্যমান অবস্থান থেকে বর্তমান উদীয়মান রাজনীতিবিদের কর্মকান্ডের ফসল আজকের বাংলাদেশ। তবে মাঝখানের অবস্থান এবং ঝড়েপড়াদের কাহিনীর কোন কীর্তি জনসম্মুর্খে বিরাজমান নেই তবে লোকমুখে এবং তাদের অন্ধবিশ্বাসে আজও জাগ্রত। তবে তাদেরকে ঐ মোহ থেকে বের করে আনার সময় এখনই। নতুবা ইতিবাচকতার ব্যত্যয় ঘটে নেতিবাচকতার জোয়ারে পুনরায় সয়লাভ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকেই যায়। ভিন্ন মত ও ভিন্ন পথের অলিতে গলিতে ঘোরপাক খাওয়াদের এখনই সঠিক মত ও পথের সঙ্গে খাপখাইয়ে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে অগ্রসর হতে হবে। নতুবা সামগ্রীক সমস্যা অন্তরালে জাতি নিমজ্জ্বিত হবে।
রাজনীতিতে ঘুনেধরা এবং অসুস্থ্যদের নিয়ে আর টানাটানি করা সমচিন নহে। যারা রাজনীতি থেকে ঝড়ে গেছে অথবা বিসর্জিত হয়েছে এমনকি নৈতিক স্খলনজনিত কারণে নির্বাসিত হয়েছে তাদেরকে নিয়ে আর মাতামাতি না করে বরং সময়ের প্রয়োজনে নিজেদের মঙ্গলের তরে আগামীর প্রস্ফুটিত পৃথিবীতে নিজের ভবিষ্যত উত্তরাধিকারীদের অভয়ারন্য প্রস্তুত সামনের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে একযোগে কাজে নেমে পড়ার সময় এখন। তবে এই কাজে বেশী সময় নেয়ার আর কোন অবকাশ নেই বরং ঝাপিয়ে পড়ার সময় এখন। পিছনের দিকে ফিরে ক্ষয় হওয়া বা নষ্ট স্বীকৃতির ভ্রষ্ট পথে আর হাটার কোন প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করি না তবে যারা এখনও ঐ নষ্ট এবং ভ্রষ্ট পথের কান্ডারীদের আহবানে সাড়া দিচ্ছেন তাদেরকে বলি ভাই নিজের এবং নিজের পরিবারের দিকে মনযোগী হওন। শিল পাটায় ঘষাঘষি মরিচের জীবন শেষ। এই কথার মরিচের দশায় আর নিজেকে নিয়োজিত করবেন না। আপনি আমি মরিচ আর আমার ও আপনার জীবন শেষ কিন্তু শিল ও পাটার জীবনের কোন পরিবর্তন নেই বরং তারা বহাল তবিয়তে থেকে আমাদের জীবন শেষের নতুন নতুন অধ্যায় ও উপাখ্যানে নিয়োজিত। আমার কষ্টে ও দু:খে তাদের ভুমিকা আছে কিন্তু সুখে তাদের কোন ভুমিকা নেই। তাই সুখের জন্য ভুমিকা একমাত্র আপনি এবং আমি নিজেই ভুমিকা রাখছি। বরং আমার ও আপনার ভুমিকায় ছেদ ঘটিয়ে তারা মাখন খাওয়ার পায়তারা করে যাচ্ছে। সেই মাখন খাওয়াদের ভাগ্য বদলামে কলুর বলদের মত আর নিজেদেরকে জড়িয়ে সম্মুখ বিপদ ডেকে না আনার জন্য সকলকে বিনয়ী আহবান এবং সচেতন হওয়ার অনুরোধ রাখছি। ক্ষমতার লোভে লোভিদের স্বীকারে আর পরিণত যেন কেউ না হয় সেই কামনায় করি। আপনাকে আমাকে পুজি করে যারা আজ বৈভবের আট্টালিকা পাহাড়সহ সম্পদ এবং দেশ ছেড়ে বিদেশে গিয়ে কামনা-বাসনা এবং আয়েশী জীবন যাপন করছেন তাদের ছেড়ে একা জীবনের সঙ্গি হয়ে নিজ এবং নিজ পরিবারের পাশে থাকার শপন নিন। আগামীর সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেকে প্রস্তুত করুন। এই আহবানেই আগামীর নতুন কোন বিষয় নিয়ে আশার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।