রাগের মাথায় শ্বাসরোধে সুমাইয়াকে হত্যা করে… রিমান্ডে সৎ মায়ের স্বীকারোক্তি

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাক্ষণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ুয়া সুমাইয়া আক্তার (১২) কে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন সুমাইয়ার সৎমা শারমিন আক্তার (৩৫)। গত (৪ মার্চ) শনিবার সকালে পুলিশী রিমান্ডে এ কথা অকপটে স্বীকার করলেন শারমিন আক্তার।

এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি কসবা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে হত্যার কারণ উৎঘাটনে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে বিজ্ঞ আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে প্রথমে বিভিন্ন বাহানায় অস্বীকার করলেও পরে পুলিশের নিকট স্বীকার করেন, শাসন করতে গিয়ে প্রচন্ড রাগের মাথায় অনেকক্ষন ধরে সৎ মেয়ের গলা চেপে ধরেছিলেন সৎ মা শারমিন আক্তার। এসময় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায় বর্ণী আংগুরা-বাশার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার।

কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, শারমিন আক্তারকে রিমান্ডে আনার পর হত্যার কারন জানতে চাইলে সে জানায়, শাসন করতে গিয়ে সুমাইয়ার গলা চেপে ধরেছিলো। এসময় সুমাইয়া শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছে। প্রসংগতঃ  ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপনের জন্য বান্ধবিদের সাথে ফুল কিনে এনে সৎ মায়ের নিকট ফুল কেনার টাকা চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোরী সুমাইয়াকে মারধোর শুরু করে সৎমা শারমিন আক্তার। এক পর্যায়ে রাগের মাথায় মেয়ের গলা চেপে ধরে রাখলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায় সুমাইয়া। পরে বিছানায় শুয়াইয়া রাখে সুমাইয়াকে। পরদিন ২১ ফেব্রুয়ারি  উদযাপনে ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে যাওয়ার জন্য বান্ধবীরা তাকে ডাকতে গেলে বিছানায় সুমাইয়াকে মৃত দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। পরে বাড়ির লোকজন এসে সুমাইয়ার মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠালে হত্যার আলামত মিলে। ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সুমাইয়ার বড় ভাই আরমিন ভুইয়া বাদি হয়ে সৎমায়ের বিরুদ্ধে মামলা করলে পুলিশ সৎ মাকে আটক করে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.