কুমিল্লা প্রতিনিধি॥ কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৩ বছর আগে মারা যান হাফেজ মোহাম্মদ মাসুদ। কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার মৈশাতয়া ইউনিয়নের খনাতুয়া গ্রামে পুকুরপাড়ে তাকে দাফন করা হয়। ১৩ বছর পর গত রবিবার পুকুরপাড়ের মাটি ভেঙে লাশটি পুকুরে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তা দেখতে পেয়ে লাশটি পাড়ে উঠায়। কিন্তু সবাই বিস্মিত হয়ে যায়- ধবধবে সাদা কাফনে অক্ষত এই হাফেজের লাশ। পরে এলাকাবাসী পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশটি আবার দাফন করে।
স্থানীয়রা জানায়, ২০০৪ সালে হাফেজ মোহাম্মদ মাসুদ মাত্র তের বছর বয়সে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ওই সময় চারদিকে বন্যার পানি বেশি থাকায় তাকে গ্রামের বিরার পুকুর পাড়ে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় দূর থেকেও অনেকেই হাফেজ মাসুদের কবর দেখতে খনাতুয়া গ্রামে ভিড় করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও লাশটির ছবি পোস্ট করে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করছেন। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শাহ্ আলম জানান, আমরা লাশটি পুকুরে পড়ে থাকতে দেখে উঠিয়ে আবার দাফন করি। ১৩ বছর পরও কাপনের কাপড় একেবারে অক্ষত দেখে আমরা সকলেই অবাক হই।
মৈশাতুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি সত্যি একটি অলৌকিক ঘটনা।
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মজিবুর রহমান জানান, যে পরিমাণ ব্যাক্টেরিয়া থাকার কথা ছিল- ওই মাটিতে সম্ভবত তা ছিল না। এমনকি একটি লাশ দাফনের সময় যদি কোন প্রকার অতিরিক্ত মেডিসিন বা কেমিকেল ব্যবহার করে থাকে, তাহলেও পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারে না। ফলে ওই লাশ তের বছর না ১শ বছরেও অক্ষত থাকা সম্ভব।
সংবাদটি শযে়ার করুন