প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স ॥ যুক্তরাষ্ট্রের স্পট মার্কেট থেকে এবার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রায় ৫৭৯ কোটি টাকার এক কার্গো এলএনজি আমদানি করা হবে। গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের জানান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি এলপি থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ (মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭৮ কোটি ৬৫ লাখ ২৫ হাজার ১২২ টাকা।
প্রসঙ্গত, জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় এলএনজি আমদানির জন্য কাতার এবং ওমানের সঙ্গে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি রয়েছে। ২০১৮ সালের ২৫ এপ্রিলে সেখান থেকে এলএনজি আমদানি শুরু হয়। ২০১৯ সালে খোলাবাজার মানে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা করা হয়। স্পট থেকে এলএনজি আমদানি শুরু হলেও যুদ্ধের কারণে দাম বেড়ে যাওয়ায় তা বন্ধ করে দেয় সরকার।
আট মাস বিরতি দিয়ে গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে খোলা বাজার থেকে পুনরায় এলএনজি কেনা শুরু করে সরকার। গত ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘রমজান চলে আসছে, সেচের মওসুমও; স্পট মার্কেটে দাম কমলে আমরা ১০-১২ কার্গো বা তার বেশি এলএনজি কিনতে পারি।’
এরপর থেকে বিশ্ববাজারে আরও কমতে থাকে এলএনজির দাম। এখন দাম পড়ছে প্রতি এমএমবিটিইউ ১৩ দশমিক ৬৯ ডলার। আগের কেনায় দাম ছিল ১৪ দশমিক ৬৬ ডলার।
চলতি মাসে সুইজারল্যান্ডের এবং গত মাসে জাপানের জেরা কোম্পানি থেকে এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ঢাকা। এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুমোদন করলো।