∆জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম∆ কসবা থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে আতঙ্কিত চোরাকারবারি

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার মোঃ শওকত হোসেনের নির্দেশনা এবং সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ দেলোয়ার হোসেনের দিক নির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম এর নেতৃত্বে উপজেলার আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল বৃদ্ধি, চুরি ডাকাতি রোদ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারী গ্রেপ্তার সহ বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে সফলতা অর্জন করেছেন। কসবা থানা পুলিশের চলমান মাদকবিরোধী অভিযান ব্যাপক তৎপরতার কারণে আতঙ্কিত মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারীরা রোড পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়ে অন্য রোড ব্যবহার করছে। এদিকে সফলতা অর্জন করে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করায় অফিসার ইনচার্জ কসবা থানা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসাবে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

জানা যায়,অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম গত ১ জুলাই কসবা থানায় যোগদান করে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত ৮ মাসে তার নেতৃত্বে থানা পুলিশ ২২২ জন আসামি গ্রেপ্তার সহ বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। উদ্ধারকৃত দ্রব্যাদির মধ্যে রয়েছে: গাঁজা ১ হাজার ৬শ কেজি, ইয়াবা ট্যাবলেট ১৫ হাজার ২শ ৭৬ পিস, বিদেশী মদ ৩শ ২৫ বোতল, স্কফ সিরাফ ৭শ ১২ বোতল, ফেন্সিডিল ১শ ৩৭ বোতল, বিয়ার ১শ ৫৩ বোতল এবং উইস্কি ১৭ বোতল। তাছাড়া মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত ট্রাক একটি, মোটরসাইকেল একটি ও সিএনজি ৩টি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও কসবা বাপেক্স গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত চোরাই মালামাল উদ্ধার সহ ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অপরদিকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কসবা অফিসে রক্ষিত ইভিএম মেশিন এর ৩৯টি মনিটর, দশটি মনিটরের ব্যাটারি এবং ১০ টি কন্ট্রোল ইউনিট উদ্ধার সহ ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করা  হয়েছে। এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ কসবা থানা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম জানান, এলাকার সফল আইনমন্ত্রী জনাব আনিসুল হক এমপি মহোদয়ের ঘোষিত মাদক মুক্ত কসবা গড়ার লক্ষ্যে আমাদের পুলিশ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

তাছাড়া উপজেলার আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জানান, পুলিশের চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ব্যাপক তৎপরতার কারণে আতঙ্কিত মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারীরা রোড পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়ে অন্য রোড ব্যবহার করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.