প্রশান্তি ডেক্স ॥ গত মাসে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজে ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়েছেন সাকিব আল হাসান। তাতে ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’-এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার নাম আসাটা অপ্রত্যাশিত ছিল না। শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটিতে দ্বিতীয়বারের মতো মাসসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন সাকিব আল হাসান।
মার্চ মাসে আইসিসির প্লেয়ার অব দ্য মান্থের লড়াইয়ে সাকিবের সঙ্গে মনোনয়নে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাটসম্যান আসিফ খান। উইলিয়ামসন ও আসিফকে টপকে দ্বিতীয়বারের মতো মাস সেরার খেতাব জিতেছেন সাকিব।
মার্চে অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে সাকিবের পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার ছিলেন তিনি। চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৭১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলে সিরিজের একমাত্র জয়ের স্বাদ দিয়েছিলেন। এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশ করতে ব্যাট-বল হাতে দারুণ ভূমিকা ছিল তার।
ইংল্যান্ড সিরিজের পারফরম্যান্স বয়ে নিয়ে গেছেন আয়ারল্যান্ড সিরিজেও। প্রথম ওয়ানডেতে খেলেছেন ৯৩ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২৪ বলে ৩৮ রানের পর বল হাতে নিয়েছেন ৫ উইকেট। সবকিছু মিলিয়ে গত মার্চে সাকিব ১২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। সেখানে তার রান ৩৫৩ এবং উইকেট ১৫টি।
এমন পারফরম্যান্সের পর দ্বিতীয় বারের মতো সাকিব জিতলেন মাসসেরার পুরস্কার। ২০২১ সাল থেকে চালু হওয়ার পর সাকিব জুলাই মাসে প্রথমবার এই পুরস্কার জিতেছেন। ওই বছর মে-তে মাস সেরা পুরস্কার জিতেছিলেন বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম।
আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচিত করা হয় সেরা ক্রিকেটারকে। ভোটিং একাডেমিতে জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকারদের রাখা হয়। তারা ভোট জমা দেন ই-মেইলে। আর নিবন্ধিত সমর্থকরা আইসিসির ওয়েবসাইটে ভোট দিতে পারেন। সেরা বাছাইয়ে একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় ৯০ ভাগ। বাকি ১০ ভাগ সমর্থকদের।
এদিকে, নারী দলের মাস সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন রুয়ান্ডার ১৯ বছর বয়সী অলরাউন্ডার হেনরিয়েট ইশিময়ে। সিভনা জিমি ও রাভিনা ওয়াকে পেছনে ফেলে এই খেতাব জিতেছেন ইশিময়ে।