বাআ॥ বন্যাদুর্গত এলাকার সুরক্ষায় সরকার পক্ষ থেকে সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ অনাহারে থাকবে না, আশ্রয়হীন থাকবে না। তিনি গত বৃহস্পতিবার নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় আয়োজিত এক জনসভায় তাঁর সরকারের সিদ্ধান্ত পুর্নব্যক্ত করে বলেছেন, আগামী ফসল ঘরে ওঠা পর্যন্ত কৃষকদের মাঝে বিতরণকৃত কৃষি ঋণের টাকা মওকুফ করা হলো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হাওর এলাকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে অর্ধেক সুদে নতুন কৃষিঋণ দেয়া হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা পুনরায় কৃষিকাজ শুরুর জন্য ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সুদে নতুন কৃষিঋণ পাবেন। একইসঙ্গে সরকার তাদের পেশা বহুমুখিকরণের জন্যও সহায়তা প্রদান করবে।
ভিজিএফ চাল সরকারের উদ্যোগে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের এখন পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুদ আছে, প্রয়োজনে বিদেশ থেকেও খাদ্য আমদানি করা হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে জেলার বন্যাদুর্গত হাওর এলাকা স্বচক্ষে দেখার জন্য শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে বন্যাদুর্গত খালিয়াজুরি উপজেলা পরিদর্শনে আসেন। খালিয়াজুরি ডিগ্রী কলেজ মাঠে বন্যাদুর্গত কৃষক এবং সাধারণ জনগণের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের পূর্বে তিনি এক জনসভায় বক্তৃতা করেন। পরে তিনি উপজেলার বন্যকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন।
গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে মৌসুমী বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় দেশের এই উত্তরপূর্বাঞ্চলের ব্যাপক জমির বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হলে হাজার হাজার কৃষকের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। সরকারি হিসাব মতে, বন্যায় ১০টি উপজেলার ৮৬টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ২৮ হাজার ৪২৫ হেক্টর কৃষিজমি তলিয়ে যায়। এতে করে জেলার জেলার ১ লাখ ৬৫ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, স্থানীয় সংসদ সদস্য রেবেকা মমিন জনসভায় বক্তৃতা করেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এবং ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।