বিএনপি কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে খুনের হুমকি: রাজনীতির ছদ্মবেশে সন্ত্রাসবাদের বার্তা

বাআ ॥ গণনিপীড়ন, জবর-দখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ধর্ষণ ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে বারবার সহিংসতার আশ্রয় নিচ্ছে বিএনপি। বিরোধীদলের ছদ্মবেশে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। এমনকি জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা করছে জনবিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসবাদী এই দলের শীর্ষ নেতারা।

গত ১৯ মে রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুন করে কবরস্থানে ফেলে রাখার প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। এটি যে দলটির কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার অংশ, তা স্পষ্ট হয়ে যায় পরেরদিন ২০ মে ও ২১ মে পরপর দুই দিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্য। ২০মে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গদিচ্যুত করার ঘোষণা দেন। এমনকি ২১ মে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সভায় মির্জা ফখরুল আবারো যেকোন উপায়ে নির্বাচিত আওয়ামী সরকারকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।

জনবিচ্ছিন্ন এই দলের নেতারা কখনোই জনগণের ভোটের ওপর আস্থা রাখেনি। তাই ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সরকারে থাকা অবস্থাতেই সব রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে শুধু রাজাকার ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নিয়ে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেছিল। এমনকি ২০০৬ সালেও ক্ষমতায় থাকাকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নাটক সাজিয়ে এক-এগারোর মতো জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। তবে প্রতিবারই তাদের সব অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছেন বাংলার জনগণ।

তাই সাধারণ মানুষের প্রতি তীব্র ক্ষোভ থেকে বিএনপি নেতারা অগ্নিসন্ত্রাস এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ছড়িয়ে বারবার হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে এই দেশে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জানমালের ক্ষতি করলে কঠোর ব্যবস্থার ঘোষণা দিলে জনগণের ক্ষতিসাধন থামাতে বাধ্য হয় বিএনপি নেতারা। তবে এবার নাশকতার চূড়ান্ত লক্ষ্য নির্ধারণ এবং সেই নীলনকশা বাস্তবায়নে সন্তপর্ণে এগিয়ে যাচ্ছে এই ঘাতকরা।

বিএনপির হাইকমান্ড যে বড় নাশকতার পথে এগুচ্ছে, তা স্পষ্ট হয়ে যায় গত বছর দলটির বিভিন্ন সহিংস পদক্ষেপে। ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আয়োজিত এক সমাবেশে বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের ওপর হামলা করে নেতাকর্মীদের শহীদ হওয়ার নির্দেশ দেন। অসাংবিধানিকপন্থায় সরকারকে ফেলে দিয়ে ১০ ডিসেম্বর দুর্নীতির বরপুত্র ও উগ্রবাদী সন্ত্রাসের মদতদাতা তারেক রহমান দেশের দখল নেবে বলেও দেশজুড়ে সহিংস উস্কানি ছড়ান।

এরপর ১০ অক্টোবর, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী লক্ষীপুরে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশে পেশীশক্তির মাধ্যমে অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের হুমকি দেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া হবে না। ১০ ডিসেম্বর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশ চলবে।

কিন্তু সাংগঠনিকভাবে দুর্বল এবং নৈতিতভাবে অধঃপতিত বিএনপির নেতাকর্মীরা ২০২২ সালের সেই ১০ ডিসেম্বর কিছুই করতে পারেনি। ফলে এরপর থেকে তারা সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়ে দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করা এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যার নীলনকশা করছে। যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির মাধ্যমে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.