প্রশান্তি ডেক্স ॥ প্রস্তাবিত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে রাজধানীর ঢাকায় আনন্দ মিছিল ও শোভাযাত্রা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং বিভিন্ন স্থানে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের থানা এবং ওয়ার্ডেও আনন্দ মিছিল ও শুভাযাত্রা হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ. লীগ দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে আনন্দ মিছিল ও শুভাযাত্রা করে বিকালে। এতে দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে মহানগরের নেতারা অংশ নেন। প্রস্তাবিত বাজেটকে গণমুখী আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান তারা।
বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে বিকাল ৫টায় রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে যুবলীগ। নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। তিনি ‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ বাজেটের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নিখিল বলেন, বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট। করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এত বড় বাজেট দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখছেন। এ বাজেট মানবতার বাজেট, মানুষের অধিকারের বাজেট এবং মানুষের কল্যাণের বাজেট।
প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে রাজধানীতে আনন্দ মিছিল ও শোভাযাত্রা করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এতে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু নেতৃত্ব দেন।
বাজেট নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত আনন্দ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে বাজেটের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান ছাত্রলীগের নেতারা।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, এই বাজেট শেখ হাসিনার মেগা সরকারের একটি মেগা বাজেট। আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশে বাস্তবায়নের জন্য একটি ড্রিম বাজেট হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বাজেট। আমরা যেই কল্যাণধর্মী রাষ্ট্রের কথা বলি তার অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে এই বাজেট। বাংলাদেশ যেন আগামী তথ্যপ্রযুক্তির যুগে অন্যতম হাবে পরিণত হতে পারে, তার প্রতিধ্বনিত হয়েছে আজকের এই বাজেটে। আমরা মনে করি, শেখ হাসিনা সরকারের এই বাজেট সম্ভাব্য সব চ্যালেঞ্জের প্রত্যেকটি সূচকে সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে।
এদিকে বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে আনন্দ মিছিল বের করে কৃষক লীগ। এতে সংগঠনটির সভাপতি সমীর চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতিসহ কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন। একইভাবে বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে রাজধানীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে মৎসজীবী লীগ। নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমান সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নষ্কর।
এর আগে বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আগের ে¯্লাগান ছিল ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার, যা আরেক ধাপ এগিয়ে এবার ঠিক করা হয়েছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ। নানা রকম সংকটের মধ্যেও স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১-এর স্বপ্ন দেখিয়ে বাজেট দিয়েছে টানা তৃতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার।
দেশের ইতিহাসে ৫২তম বাজেট পেশ করে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের চলতি মেয়াদের সর্বশেষ বাজেট এটি। প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদে বাজেটের ডিজিটাল উপস্থাপনা প্রদর্শন করা হয়।