ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবায় তৃতীয় লিঙ্গের সোহেল রানা দুষ্টুকে হত্যার কথা স্বীকার করছে তারই বন্ধু রাকিব। গত বুধবার সন্ধ্যায় থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (পিপিএম) এ তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় সাংবাদিকদের। ওই দিন দুপুরে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় রাকিব । আদালতে দেওয়া রাকিবের জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি সাংবাদিকদের জানান, রাকিব অটো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। অটো চালানোর সূত্রে সোহেল রানার সঙ্গে পরিচয়। এরপর সোহেলকে বিভিন্ন স্থানে আনা-নেওয়া করত রাকিব। পাশাপাশি সোহেলের ভাড়া ঘরে আসা-যাওয়া করত।
গত ৩০ জুন বিকেলে রাকিব সোহেল রানার বাসায় যায়। এ সময় সোহেল নিজ বাড়ি দিনাজপুরে যাওয়ার কথা জানালে রাকিব যেতে নিষেধ করে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগ্ বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে রাকিবকে জুতা মারেন সোহেল। রাকিবও তাকে থাপ্পড় দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এ সময় রাকিবের পিছু নিয়ে কসবা-আখাউড়া রোডে যান সোহেল। এক পর্যায়ে সেকান্দারপাড়া রওশন মিয়ার বাড়ির সামনে গাছের ডাল ও ইট দিয়ে সোহেলের মাথায় আঘাত করে রাকিব। এতে ঘটনাস্থলেই সোহেল মারা যান। উল্লেখ্য সোহেল রানার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে চিরিরবন্দর এলাকায়। ৮-৯ মাস আগে গুরুমা অজান্তার হাত ধরে কসবায় আসেন সোহেল।