শিগগিরই ডাকসেবা কাঙিক্ষত মানে উন্নীত হবে: মোস্তাফা জব্বার

প্রশান্তি ডেক্স ॥ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবের (ডিএসডিএল) প্রস্তাবের আলোকে ইতোপূর্বে পরিচালিত সমীক্ষা স্মার্ট ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এরফলে উৎপাদনমুখী কর্মকান্ডের ডিজিটালাইজেশনের শক্তিশালী ভিত তৈরি হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্মার্ট ডাকঘর বিনির্মাণের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিগগিরই ডাকসেবা কাঙি্‌ক্ষত মানে উন্নীত হবে। মন্ত্রী স্মার্ট ডাকসেবার জন্য পরিচালিত সমীক্ষার সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে স্মার্ট ডাকঘর বিনির্মাণের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার প্রক্রিয়া গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন।

গত বুধবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাকভবন মিলনায়তনে ডাক অধিদফতর ও এটুআই প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে স্মার্ট ডাকঘর বিষয়ক গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত এক বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল করতে এটুআই প্রচুর সলিউশন তৈরি করেছে। আমাদের দেখতে হবে যে প্রতিষ্ঠানের রূপান্তরের দরকার সেই প্রতিষ্ঠান রূপান্তর হচ্ছে কিনা। ডাক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ডিএসডিএল সুপারিশ তৈরি এটুআইয়ের একটি ফলপ্রসূ উদ্যোগ বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী সবগুলো অনুষঙ্গ যাচাইবাছাই করে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পরামশের্র ভিত্তিতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এটুআই কর্মকর্তা ফরহাদ জাহিদ শেখ, সাব্বির রহমান এবং ডাক অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক স্মার্ট ডাকঘর কর্মসূচি বাস্তবায়নে সুপারিশের আলোকে করণীয় নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন এবং কমিটির রিপোটের্র আলোকে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.