ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম এম.এস.সি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো কসবা উপজেলায় কর্মব্যস্ত দিন কাটিয়ে গেলেন। গত সোমবার গাড়ি বহর নিয়ে কসবা উপজেলায় প্রবেশকালে তাকে আড়াইবাড়ি নামক স্থানে অভ্যর্থনা জানান; জেলা পরিষদ সদস্য কসবা উপজেলার দায়িত্বে নিয়োজিত মোশারফ হোসেন ইকবাল ও আইয়ুব আলী ভুইয়া, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. সোলেমান খান, আড়াইবাড়ি কামিল মাদরাসার সুপার গোলাম সারোয়ার সাঈদী। তিনি আড়াইবাড়ি মসজিদ, মাদরাসা কমপ্লেক্স ঘুরে দেখেন এবং পীর আজগর আহম্মদ ও পীর গোলাম হাক্কানী সাহেবের মাজার জিয়ারত করেন।
সেখান থেকে তিনি শাহপুর আজগর আলী উচ্চ বিদ্যালয়, বদিউল আলম সায়েন্স ও টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট, কসবা পৌর উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই তাকে ফুলেল শুভেচ্ছ জানান। কসবা পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্কাউট দল তাকে গার্ড অব অর্নার জানায়।
দুপুরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কুল্লাপাথর শহীদ সমাধীস্থলের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং শহীদদের জন্য দোয়া পাঠ করেন। পরে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন। সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট আনিসুল হক ভুইয়া, পৌরসভা মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন সুলতানা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিছ বেগমসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি কিছু সময় উপজেলা চেয়রম্যানের কক্ষে কাটান। এসময় কসবা প্রেসক্লাবের পক্ষে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রেসক্লাব সভাপতি মো. সোলেমান খান ও সাধারণ সম্পাদক নেপাল চন্দ্র সাহা। পরে সিডিসি স্কুলের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা উপহার দেন বিদ্যালয়লের প্রতিষ্ঠাতা মো. সোলেমান খান। তিনি পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলামের সাথে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় শফিকুল ইসলাম বলেন; জেলা পরিষদ উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ আমরা এক যুগে সরকারের কর্মসূচী বাস্তবায়নে অঙ্গিকারাবদ্ধ। আমরা কেউ কারো প্রতিপক্ষ নই। সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে কোনো প্রকার গাফিলতি করা যাবে না। তিনি কসবা গণ-পাঠাগার ভবনটি ভেংগে দোতলা ভবন করে দেয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়া স্থানীয় ঐতিহাসিক কল্যাণ সাগর দিঘীর পাড়ের প্রান্তিক রেস্ট হাউজটি সংস্কারের ঘোষণা দেন। পরে তিনি জেলা জেলা পরিষদ সার্কিট হাউসটিও পরিদর্শন করেন। পুরো দিনেই অন্যান্যদের মধ্যে তার সফর সংগী হিসেবে ছিলেন; প্রধান নির্বাহী আবদুল আলিম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা রতিস রায়, বাঞ্ছারামপুর প্রেসক্লাব সভাপতি সাব্বির আহাম্মদ সুবিল, প্যানেল চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সনি আক্তার সুচি, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা লায়ন চন্দন কুমার ঘোষ।