প্রধান প্রতিবেদক॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন কসবা উপজেলার অন্তর্গত গোপীনাথপুর গ্রামের কৃতি সন্তান, নব্য রাজাকার জনাব রাসিকুর রেজা তছলিম সাহেব। তিনি বিভিন্ন সময় অতিরঞ্জিত আওয়াজ, লেখা, কথা বলা এমনকি নিজে যা না তা প্রকাশ করতে ব্যস্ত থাকেন। ওনার অফিসে কোন কাজ নেই, শুধু একটি কাজই ওনি করেন আর তা হলো বেতন উত্তোলন ও বড় কথা বলে অফিসারদের চাপে রাখা। যদিও তিনি অফিসের কোন কাজ করেন না, হাজিরা দিয়ে শুধু ধান্ধার খোজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। যেখানে ধান্ধা সেখানেই তছলিমুর রেজার আর্ভিভাব, চাকুরী দেয়ার প্রলোভন, সুপারিশ করা, নিজের পুজিতে মাদকসহ নানাহ ব্যবসা পরিচালনা করা। বিভিন্ন মন্ত্রীর এমনকি রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সেলফি তুলে নিজেকে জাহির করা এবং নিজের অবৈধ মনোভাসনা পরিপূর্ণ করা। এক কথায় রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার ফন্দি ফিকির নিয়ে ব্যস্ত থাকা। তাঁর চালচলন এবং কথাবার্তায় শুধু প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ খুঁজে পাওয়া যায়। এই কথাগুলোর বাস্তবতা পাওয়া যাবে তার ফেইসবুক পেইজে এবং ইনবক্সে একনজর ডু মেরে আসলেই।
তিনি বিশেষ করে বর্তমান আইন মন্ত্রী মহোদয়ের নাম বিক্রি করেন এবং পাশাপাশি জনাব ওবায়দুল মুক্তাদির সাহেবেরও নাম বিক্রি করেন। সর্বোপরি বর্তমান জেলা প্রশাসক শফিক সাহেবেরও নাম বিক্রি করেন। তবে তিনি সবচেয়ে যে বিষয়টি বেশী বেশী করেন তা হল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন কর্মী ও বড় মাপের নেতা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। আসলে তিনি আওয়ামী লীগের কেউ নন। ওনার খপ্পরে পড়ে মানুষ হয়ত ওনাকে আওয়ামী লীগার ভাবেন কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই ওনাকে আওয়ামী লীগের শ্রত্রু নব্য রাজাকার হিসেবে চিনতে ভুল করেন না। তিনি যে কাজটি আওয়ামী লীগের হয়ে করেন- তা হল আওয়ামী লীগের সমালোচনা, প্রশাসনের সমালোচনা, নেতা-নেত্রী ও কর্মী এবং সমর্থকদেরও সমালোচনা করে বেড়ান। ওনার মাধ্যম হলো সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, কখনো কখনো অন্যের আইডিয়া চুরি করে নিজের নামে চালান এবং হাতে নাতে ধরা খেয়ে নিলর্জ্জের মত বেহায়াপনা করেন বেড়ান। ওনার কোন লাজ, লজ্জা এবং ব্যক্তিত্ব ও সামাজিক কোন মূল্য নেই। আর এর পিছনে ওনি নিজেই দায়ী। মানুষ হিসেবে ওনাকে সম্মান করতে গিয়েও সম্মান করার আর উপায় না পেয়ে লজ্জিত হয়ে ফিরে আসতে হয়।
ওনি যে শুধু রাজাকার তাই নয় বরং ওনি একজন রাষ্ট্রদ্রোহীও বটে। ওনি ওনার ফেসবুক পেইজ এবং ম্যাসেঞ্জারে মন্ত্রী এমপি এমনকি প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে বলে ওনাকে কেউ কোন ক্ষতি করতে পারবে না। ওনার এত ক্ষমতা। শুধু কি তাই; ওনি দলের শত্রু, দেশের শত্রু, পরিবারের শত্রু, কর্মক্ষেত্রের শত্রু, জাতির শত্রু, সমাজের শত্রু। এই শত্রুকে কেন অফিস বেতন দিয়ে রাষ্ট্রের এমনকি কোম্পানীর টাকা অপচয় করছে তা ভাবার বিষয়। আসলেইকি কেউ দেখার নেই এই বিষয়টি? তিতাসের উচিৎ উনার কর্মকান্ডের হিসাব নেওয়া এবং নোংরা মুখ পরিস্কার করে সংশোধ করা। শিক্ষিত, মার্জিত এবং জ্ঞানের আলোকে ওনার বাকি জীবন পরিচালনার ব্যবস্থা করা। ওনার লেখনি এবং কথা বার্তায় সমাজ ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং অপসংস্কৃতির অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাওয়া ছারা আর কিছুই নেই॥ এই কান্ডজ্ঞানহীন নরপশু সম্পর্কে মানুষ কি বলবে? তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিপূর্ণ প্রকাশিত এবং লজ্জা ও আত্মসম্মান থাকলে আর কোন মানুষ ঐ অসভ্য আচরণ না করে সভ্য এবং আলোর জগতে ফিরে আসতো। কিন্তু তা হবার নয়। তাইতো সৎ সঙ্গে সর্গবাস আর অসৎসঙ্গে সর্বনাশ। এই প্রবাদ বা ও খনার বচনের যথেচ্ছ বাস্তবভিত্তিক প্রয়োগ ঐ আওয়ামী নামধারী দলের ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের জীবনে।
গত ২৭/০৫/২০১৭ইং রোজ শনিবার গোপিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদে এক সাংবাদিক সম্মেলন বা প্রেস কনফান্সের মাধ্যমে এলাকাবাসী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলী, ছাত্রলীগ মিলে ঐ কুচক্রি তছলিমুর রেজার বিরুদ্ধে এমনকি তার অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় ও তাকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেন। জনাব তছলিমুর রেজাকে হুশিয়ার উচ্চারন করে বলা হয় সংশোধন হতে এবং রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকলে তিতাসের চাকুরী ছেড়ে এসে মাঠে নামতে। নতুবা চাকুরীর দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে। দলের এমনকি সম্মানিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যেন আর মিথ্যা কোন ভুলবাল লিখা না লিখে। প্রমান থাকলে প্রমান নিয়ে হাজির হতে। প্রমান ছাড়া মিথ্যা বুলির জন্য কসবায় অবাঞ্চিত হয়ে এখন আবার নিজ গ্রামে অবাঞ্চিত হয়েছেন। এই মতিভ্রম মানুষটির ঘরের লোকজনও তার পক্ষাবলম্বন করতে পারে না শুধু মিথ্যা; অশালিন আচরণ, অরুচিকর লিখা ও বলা এবং একগুয়েমির জন্য। তাঁর আত্মীয়-স্বজন এবং নিকটাত্মিয়রা তার আচরণে লজ্জিত এমনকি তার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তার আপন মামাতো ভাই ঐ সাংবাদিক সম্মেলনে তার মিথ্যা এবং অন্যানের বিরুদ্ধে জোড়ালো ভুমিকা পালন করেন। অন্যান্য বক্তাদের ন্যায় তিনিও কড়া ভাষায় সমালোচনা এবং হুশিয়ারী উচ্চারণ করে ঐ দাম্বিক রাসিদুর রেজা তছলিম সাহেবকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন। তিনি তার এই কর্মকান্ডের ফলশ্রুতিতে জাত কুল সবই হারিয়ে এখন দিশেহারা।
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় এবং উপার এপিএস এমনকি এলাকার অনেক গন্যমাত্র ব্যক্তিদের জীবন সম্পর্কে মিথ্যা বলা ও প্রচার করা এমনকি নিজেকে আওয়ামী লীগের সব ভেবে কথা বলা যা বাস্তবে অনুপস্থিত; সেই মানুষটি নিয়ে কোন কথা লেখা বলার আমাদের ইচ্ছারও বিরুদ্ধ। কিন্তু স্থানীয় প্রতিনিধির পাঠানো তথ্যে এবং আমাদের দর্শকদের অনুরোধে এই রিপোর্ট এর প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা হলো।