হিংসা ও লোভের তরে যেন চলছে আগামীর রাজনীতি ও ক্ষমতার পালাবদলের খেলা। বিএনপির আন্দোলন ও ে¯্লাগানে এই হিংসা ও লোভের গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে দিচ্ছে। গত ১০ ডিসেম্বর দেশ চলবে খালেদা জিয়ার কথায়; টেইক বেক বাংলাদেশ, শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলার হুমকি; রাজপথ ও দেশ অচল বা দখল করে সরকারের পতন এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়াসহ আরো কত কি। তবে এই সবের কোনটিই হবে না এমনকি সরকারও পদত্যাগ করবে না। কারণ সরকার পদত্যাগ করার মত কোন কারণ এখনো চোখে পড়ে না বরং সরকার দেশের ও জনগণের কল্যাণে এমনকি মাথা উঁচু করে দেশে ও বিদেশে পথ চলতে কাজ করে যাচ্ছে। তবে এই ক্ষেত্রে একটি বিষয় বলতে হচ্ছে যে, বিএনপি আদো কোন নির্বাচন চায় না এমনকি নির্বাচনে অংশগ্রহণও করতে চায় না এমনকি করবেও না। বরং তারা চায় বিনা নির্বাচনে এমনকি বৈদেশিক হস্তক্ষেপে ক্ষমতার পালাবদল ঘটাতে। যেমনি ১০ ডিসেম্বরের দেশ পরিচালনার ভার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী খালেদা জিয়ার উপর ন্যাস্ত করার মাধ্যমে। ভাবেনতো এটা কিভাবে সম্ভব? আদো কি সম্ভব? তবে পাগলের প্রলাপ পাগলরাই বাস্তবায়ন করতে পারে। সুস্থ্য সবল মানুষ ও একটি স্বাধীন দেশ এটা কোনভাবেই মানতে পারবে না এমনকি ঐ পরিস্থিতি আসতেও দেবে না।
আরেকটি বিষয় যখন তারা বুঝল যে তাদের কোন কথাই এখন জনগন খায় না বা চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং শেখ হাসিনার দুরদর্শী রাজনীতি ও অর্থনীতির কাছে ধোপে টিকে না তখনই তারা বিদেশী শক্তির মহড়া প্রদর্শন করে বিদেশী চাপের মাধ্যমে বিদেশী পরামর্শে বিভিন্ন কৌশলী আন্দোলন চলমান রাখতে শুরু করল। কিন্তু সেখানেও খোচট খেল। এখন কি ভাবছে এবং আগামীর করনীয় ঠিক করতে কোন কৌশল অবলম্বন করে পদ্ধতিগতভাবে এগুচ্ছে। তবে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না এটা সত্য এবং স্পষ্ট। কারণ এদেশের জনগণ আর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে চায় না এবং নতুন ও বিশ্বস্ত এবং শান্তিপূর্ণ নিশ্চয়তার চলমান উন্নত এবং কৌশলী উদ্ভাবনী কোন পরিকল্পনার সঙ্গে যেতে চায় কিন্তু সেই পরিকল্পনা এবং রূপকল্প দিতে বিএনপি তথা তাদের জোট শতভাগ ব্যার্থ। এবার আসুন তত্ত্ববধায় সরকার। এটাতেও এই দেশের সংবিধান এবং জনগণ দ্বিমত পোষণ করে বিএনপি তথা তাদের জোটকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারপরেরটি হলো নির্বাচনকালীন সরকার যেটি সার্বজনীন রূপে সরকার পদত্যাগ করে তত্ত্ববধায়কের আদলে করতে হবে। তাও আবার নির্বাচনী ব্যবস্থার সঙ্গে মানায় না এমনকি সরকার পদত্যাগের কোন কারণ বা ইচ্ছা ও আকাঙ্খা এদেশের জনগণের নেই। তাই নির্বাচনকালীন সরকার বতমান সরকারের মাঝখান থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হবে। যেটা মানতে বিএনপি তথা তাদের জোট শরীকদের গাত্রদাহ হয়।
কেন বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বা গনতান্ত্রিক পদ্ধতিকে স্বাগত জানাবে না তার সুস্পষ্ট; কারণ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়ার হ্যা বা ন্যা ভোট এখন আর নেই। দ্বিতীয়ত তাদের দলের বর্তমানে কোন নেতা নেই। যারা আছেন তারা দুজনেই বর্তমানে দন্ডপ্রাপ্ত এবং একজন পলাতক। এই দুজনের কেউই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তারা কিন্তু আইনকে মানেন; তবে তা গোপনে কিন্তু প্রকাশ্যে তারা গলাবাজি করে সহজ সরল জনসাধারকে ধোকাবাজিতে অন্ধ করে রাখতে চান। আর এই কারণেই জেনে শুনে তারা নির্বাচনে গিয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত সর্বনাশ করতে চান না। তারা এও বিশ্বাস করে যে, গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয়ে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। কান্ডারীবিহীন একটি দলে যখন নির্বাচনে জয়লাভ সম্ভব না তখন তাদের দন্ডিত প্রধানরা ভাবছেন দলের নির্বাচন দরকার নেই এমনকি এমপিও দরকার নেই বরং আমাদের দরকার অর্থ এবং বিত্ত্ব। আর এই লক্ষ্যে নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য একটি ঈদানন্দের মত উপলক্ষ্য। তবে যদি কোন নৈরাজ্যমূলক অবস্থার অবতারণ ঘটে তাহলে হয়ত আবার দরকষাকষির মাধ্যমে মামলা প্রত্যাহার করিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের একটি ব্যবস্থা করবে এই আশায় বুক বেধে আছে। আর সেই দিবা স্বপ্নেই বিভোর হয়ে আছে দলের প্রধানরা। যা আগামী দিনে কখনো হবে বলে দৃশ্যমানতা প্রকাশ করে না।
বিএনপির এহেন অবস্থার বলি সাধারণ নেতা কর্মীরা। তারা জেল-জুলুম অত্যাচার এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হয়ে দিশেহারা ও গতিহারা দিনাতিপাত করছেন। আর তাদের নেতা বিদেশে বিলাশবহুল জীবন যাপন করছেন। বিলাশবহুল জীবন আস্বাধনকারীদের দ্বারা আর যাই হউক দেশ সেবা বা রাজনীতি হয় না। যে ছেলে জন্মদ্রাত্রী মায়ের জন্য কিছু করতে পারে না সেই ছেলে কিভাবে দেশের জন্য; দলের জন্য এমনকি কর্মীর জন্য কাজ করবে? ভেবে দেখুন? ! দেশের কল্যাণ এবং অগ্রগতি ও উন্নতিতে আপনিও গর্বিত হউন এবং নিজেকে শরীক করুন। সময় এখন আপনাকে ও আমাকে হাতছানি দিকে ডাকছে। কালো মেঘ এবং অন্ধকারকে পরিহার করুন। স্বচ্ছ আলোর মিছিলে নিজেকে জরিয়ে শান্তি ও আনন্দ এবং গর্ববোধে উজ্জ্বীবিত হউন।
অন্যের প্রতি হিংসা এবং ক্ষমতার লোভে অন্ধ না হয়ে বরং অন্যের মঙ্গলে আনন্দিত হউন, দেশের শ্রীবৃদ্ধিতে গর্ববোধ করুন। বিরোধীতার খাতিরে সমালোচনা বা বিরোধীতা না করে বরং রাজনীতির নীতি ও ধারাতে ফিরে এসে যুক্ত থাকুন। উন্নয়ন- অগ্রগতি ও মঙ্গল সাধনে যুক্ত থেকে আরো সুন্দর এমনকি স্বাশ্রয়ে ভালো কিছু করার পরামর্শ দান করুন। দেশের অগ্রগতিতে নিজেকে গর্বিত ভাবুন। নিজের ক্ষমতার লোভে দেশের ও জনগণের ক্ষতি সাধন করবেন না। কারণ সরকার এবং বিরোধীদল উভয়েরই দায়িত্ব-কর্তব্য আর লক্ষ্য হলো দেশের কল্যাণ সাধন করা। তাই এই কল্যান সাধনে কেন বৈপরিত্ত্ব; কেন বিভাদ ও বিরোধীতা? কোথায় আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক এবং ধর্মীয় সৌহাদ্য এবং সম্প্রীতির সহযোগীতার নি:শর্ত বন্ধন? আসুন ঐসকল গুনগুলিকে চর্চায় আনয়ন করি এবং হিংসা ও বিদ্দ্যেশ থেকে বের হয়ে এসে ক্ষমা ও ভালবাসায় নিজেদেরকে সাজিয়ে তুলি। সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য লাভে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখি।
চলামান উন্নয়ন এবং বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ও এদেশের প্রধানমন্ত্রীর গ্রহণযোগ্যতা প্রকাশিত এবং যা দৃশ্যমান তা নিয়ে আহাম্মকের মত সমালোচনা না করে বরং ইতিবাচক প্রসংশা ও গর্ব করি। বিমষ্টেক, জি২০ এবং আমেরীকায় দাওয়াতে অংশগ্রহন সবই হলো বাংলার জৌলুস এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্যারিশমা। তাই আসুন ইতিবাচক হই এবং অর্জনগুলোকে বিসর্জনে পরিণত না করে সর্ম্পদে রুপান্তরিত করি। বাংলাদেশের বৈদিশিক নীতি হলো কারো সঙ্গে শত্রুতা নয় বরং সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব। আর হলোও তাই এই মূলমন্ত্রকে পুজি করেই বর্তমান সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী তৈরী করেছেন বিশ্ব সম্পর্ক। চিন, ভারত, আমেরীকা, জাপান, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানীসহ সকলের সঙ্গে গড়ে উঠেছে এক অনন্য সম্পর্ক। যা বর্তমানের দৃশ্যায়নের মঞ্চেই প্রবাহমান হয়ে প্রকাশিত। যা অতীতের সকল সরকার এর চেয়ে শতগুনে বেশী এবং উন্মুক্ত। এটাই বর্তমানের অর্জন। যাকে ৭৫পরবর্তী অর্জনের স্বীকৃতির স্বর্ণাঅধ্যায় হিসেবে লিপিবদ্ধ করা যায়। আর এই কারনেই ব্যক্তিগত হিংসা, দলীয় হিংসা, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক হিংসা পরিগণিত হয়েছে লোভের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বহু পরিকল্পনার নেতিবাচক আন্দোলনে। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন বিশ্ব, নতুন স্বপ্ন, শান্তির বিশ্ব, সহবস্থানের বিশ্ব, বিশ্বাস ও আস্থার বিশ্ব গড়তে শপথ করি এবং বাংলাদেশকে ঐ আগামীর নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত করি।