বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের-“মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেবো”

প্রশান্তি ডেক্স ॥ বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা রূপপুর বন্ধ করতে চায়, তাদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেবো। দুই চালান ইউরেনিয়াম এসেছে। বেশি লাফালাফি করলে কিছু ফখরুলের মাথায়, কিছু মঈন খানের মাথায়, কিছু আব্বাসের মাথায়, কিছু রিজভীর মাথায় ঢেলে দেবো। এখন ডান্ডা মেরে নয়, ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেবো।

গত সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর গাবতলীতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ও মিছিলে এসব কথা বলেন তিনি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে বিএনপির সমালোচনার কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউরেনিয়ামের দুইটা চালান এসে গেছে। পুতিন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছেন। বাংলাদেশে সাংঘাতিক আলো ঝলমলে পরিবেশ হবে। এতে ফখরুলের অন্তর্জ্বালা, মঈনুদ্দিন খানের (মঈন খান) অন্তর্জ্বালা।

তিনি বলেন, রূপপুর বন্ধ করে দেবে বলেছে, কে বলেছে? আমরা বলছি রূপপুর যারা বন্ধ করতে চায় সে ফখরুল, মঈন খানের মাথায় রাশিয়ার ইউরেনিয়াম ঢেলে দেবো। দুই চালান এসেছে। সেটা আমরা কিছু ফখরুলের মাথায়, কিছু গয়েশ্বরের মাথায়, কিছু আব্বাসের মাথায়, কিছু মঈন খান এর মাথায়, কিছু রিজভী পাগলার মাথায়…যে লাফাবে তার মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব। ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করব না, ইউরেনিয়াম মাথায় ঢেলে ঠান্ডা করে দেবো।

আগামী বছরের জানুয়ারীতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জানুয়ারিতে ফাইনাল, নভেম্বরে কোয়ার্টার ফাইনাল এবং ডিসেম্বরে সেমি ফাইনাল খেলা হবে।

বিএনপির সঙ্গে খেলা ছাড়া উপায় নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট চোরের বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারে বিরুদ্ধে খেলা হবে। সারা বাংলায়, সারা ঢাকায় খেলা হবে। জোরে জোরে খেলা হবে। দুইবার ফাউল করলে লালকার্ড, ফাউল করলে হলুদ কার্ড।

বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল বলেন ঢাকা অচল করে দেবেন অক্টোবর মাসে। ঢাকা অচল করতে আসলে ঢাকাবাসী বিএনপিকে অচল করে দেবে। অচল করতে আসলে নিজেরা অচল হয়ে যাবে। কবে আসবেন, ডেটটা দেন না! ডেট দেন! লাফালাফি, নাচানাচি, বাড়াবাড়ি বন্ধ করেন। ভালো হবে না। বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে! আমরা প্রস্তুত।

ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলামকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ডেঙ্গু থামছে? মেয়র সাহেব নকল ওষুধ আনিয়েন না, ভালো ওষুধ আনেন। মানুষ অস্থির হয়ে গেছে। আপনি দৌড়াদৌড়ি করেন ভালো। ছোটাছুটি করেন ঠিক আছে। কিন্তু ঠিকমতো মশাকে আঘাত করেন। মানুষ বড় কষ্টে আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেশি, কিন্তু একটা মানুষও না খেয়ে মরেছে? শেখ হাসিনা মানুষের জন্য আছেন। কাউকে না খেয়ে মরতে দেবেন না। আমি খাবো না, তবু মানুষকে খাওয়াব। মানুষ বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বাঁচবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচির সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.