ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ সহকারী পুলিশ সুপার কার্যলয় সংলগ্ন পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মরহুম সামছুল আলম কাওসারের নবনির্মিত বাউন্ডারী দেয়াল ভেংগে দুর্বৃত্তরা শতাধিক চারাগাছ কেটে ফেলেছে। তারা ঘরের এসি ও বাড়ির দেয়ালের নিকট থাকা টিনের বেড়া ভেংগে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে।
এ ঘটনায় সাবেক আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র মোহাম্মদ ইলিয়াছ ও তার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলমসহ ২৩ জনকে আসামী করে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রকাশ কসবা পৌর আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারন সম্পাদক সামছুল আলম কাওসার গত প্রায় ৫ বছর আগে মারা যান। ইতোপুর্বে কাওসার আলমের ৫ বোন ও এক চাচা তাকে না জানিয়ে হিস্যা ভাগ না করে তাদের অংশ বিক্রি করে ফেলেন স্থানীয় বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমের নিকট। কাওসার আলমের অকাল মৃত্যুর পর পৌর শহরের বিশাল সহায় সম্পত্তি নিয়ে বিপাকে পড়েন তার স্ত্রী সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া ও তার নাবালক তিন সন্তান। এ নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা চলমান রয়েছে জাহাঙ্গীর আলম গংদের সংগে।
সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া জানান, এ বিষয়ে সমাধানের লক্ষ্যে সার্কেল অফিসে একাধিকবার ডাকা হলেও জাহাঙ্গীর আলম গংরা আসেন না। স্থানীয় বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম ও তার লোকজন সন্ত্রাসী কায়দায় গতকাল (২১ অক্টোবর) প্রথম প্রহরে তাদের নবনির্মিত দেয়াল, টিনের বেড়া ও এসি ভেঙ্গে ফেলে। তিনি আরও জানান, এসময় কসবা থানা ওসিকে ফোন দিয়ে সাাড়া না পেয়ে ট্রিপল নাইনে ফোন দেন। এই বাড়িতেই সহকারী পুলিশ সুপার কসবা সার্কেল মোঃ দেলোয়ার হোসেনের ভাড়া কার্যলয় ও বাসা। রাতে তিনি বাসায়ই ছিলেন।
এ বিষয়ে সহাকরী পুলিশ সুপার মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, আমি মরহুম সামছুল আলম কাওসারের স্ত্রীকে থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ দিলে আমি তদারকি করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী আইনানূগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কসবা পৌরমেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল আজিজসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা পুলিশের সার্কেল অফিস সংলগ্ন এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কসবা থানা ওসিকে আহ্বান জানান।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। রাতের আধারে কে বা কারা দেয়াল ভেংগেছে তা তার জানা নাই। তিনি আমার খরিদা জায়গায় দেয়াল নির্মান করেছেন।
সাবেক কসবা পৌর মেয়র বিএনপি নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াছ’র এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কাগজ পত্র অনুযায়ী এ সমস্ত বিষয়ে মিমাংসা করার জন্য বার বার আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সংগে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু সাঈদা সুলতানা বসতে আগ্রহী নয়।