ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের তছলিমুর রেজার বিরুদ্ধে গত সোমবার (৫ জুন) রাতে তথ্য প্রযুক্তি আইনে কসবা থানায় মামলা হয়েছে। কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন। তছলিমুর রেজা কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত মহারাজ ব্যাপারীর ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের সদস্য এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস গ্যাস ফিল্ড অফিসের সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত।
মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন; তছলিমুর রেজা তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইস বুকে আইন মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক এবং তাঁর সহকারি একান্ত সচিব (এপিএস) রাশেদুল কাওছার ভূইয়াকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিপুর্ন ষ্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে তিনি লিখিছেন মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশী হলে যা হয়—কথায় আছে না “মার পুড়ে না — পুড়ে”। সিএস.বিএস ও আর এস নিয়ে রাজনীতি করি। তুইতো আমার কাছে একটা মশা ইত্যাদি উল্লেখ করে বিভিন্ন কুৎসা রটনা করে বিভিন্ন অশ্লিল লেখা তাঁর ফেইস বুকে লিখেছেন। এ ঘটনায় কসবা উপজেলার বায়েক গ্রামের বাসিন্দা ও বায়েক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন ক্ষুব্ধ হয়ে গত সোমবার কসবা থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন; আইন মন্ত্রী আনিসুল হক ও তাঁর সহকারি একান্ত সচিব (এপিএস) রাশেদুল কাওছার ভূইয়ার ও আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় তিনি বাদী হয়ে এ মামলা দায়ে করেছেন।
তছলিমুর রেজা মুঠোফোনে বলেন; তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের সদস্য। তিনি ফেইজ বুকে লিখেছেন। কিন্তু কারোর নাম তিনি লেখায় উল্লেখ করেন নি বলে তিনি দাবী করেছেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন; ইলেকট্রনিক্্র মিডিয়া ফেইজ বুকে মিথ্যা অশ্লিল কুরুচিপূর্ণ ভাষার প্রচার করিয়া মানহানী ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপরাপধে তছলিমুর রেজার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য যে ফেইজ বুকে বিভিন্ন সময়ে তছলিমুর রেজা আওয়ামী লীগকে কাওয়া লীগ বলে ব্যঙ্গ করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে আরো একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।