ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ পেশাগত দায়িত্বপালন কালে কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি ও সমকাল প্রতিনিধি মোঃ সোলেমান খানের সংগে বায়েকের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী ইভান ও ওয়াসীমদের অসদাচারন, মোবাইল ভাংচুর, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে কসবা প্রেসক্লাব আজ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। সকাল ১১টায় স্থানীয় স্বাধীনতা ভাস্কার্য় মোড়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন ইত্তেফাক প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি নেপাল চন্দ্র সাহা।
আমাদের সময় প্রতিনিধি ও কসবা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের স্বপনের পরিচালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় সংহতি জানিয়ে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, কসবা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, কসবা পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান মানিক, কসবা পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান আবু জাহের, কসবা প্রেসক্লাব সহ-সাধারন সম্পাদক মোঃ সোহরাব হোসেন, সাংগঠনিক লোকমান হোসেন পলা প্রমুখ। এ সময় সাংবাদিক ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ১৬ ডিসেম্বর সন্ধায় কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ভিতর থেকে কলেজ ছাত্র পৌর শহরের ফজলুল হকের পুত্র অপু (২১)ও নাজির মিয়ার পুত্র অন্তর (১৮)কে বায়েক এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী ওয়াসীম ও ইভানের নেতৃত্বে বেদড়ক পিটিয়ে অপহরণ করার সময় সমকাল প্রতিনিধি ভিডিও চিত্র ধারণ করতে থাকলে এ ঘটনা ঘটে। স্থানিয় লোকজন তখন ধাওয়া দিলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্র অপু দ্রুত বিচার আইনে অভিযোগ দিলেও কসবা থানা ওসি রাজু আহম্মেদ মামলাটি দ্রুত আইনে না করে সাধারণ ধারায় করেন।
ফলে সাংবাদিক সমাজ ও সুশীল সমাজ ক্ষুব্দ হয়ে ওঠেন। এদিকে কসবা প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি নেপাল চন্দ্র সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের স্বপন ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন। অন্যথায় সাংবাদিক সমাজ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
বায়েক এলাকার মোঃ আলমগীর হোসেন জানান- ইভান ও ওয়াসিমদের কাছে বায়েক এলাকা জিম্মী। তাদের ভয়ে এলাকার মানুষ তটস্ত। কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউছার ভ’ইয়া জীবন বলেন এরা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। ওসি এ মামলার ব্যপারে আমার সঙ্গে কোনো কথা বলেনি। আমি ওসির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব। ওসি রাজু আহম্মেদের সাথে একাদিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে কসবা সহকারী পুলিশ সুপার ( কসবা সার্কেল) কেও একাদিক বার ফোনদিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।