বাআ ॥ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে সরকারি ক্রয় ও অন্য যে কোনো খাতে, কোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম সহ্য করা হবে না। গত সোমবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
“সরকারি ক্রয়সহ সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আমি কোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম সহ্য করবো না;” বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি মন্ত্রিসভার সদস্যদের বলেন, সরকারি কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
“সরকারের রাজস্ব ব্যয়, সরকারি ক্রয় ও স্বচ্ছতার প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। আমি এখানে কোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম সহ্য করবো না;” যোগ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, দুর্নীতি কোনো দেশের জন্য ভালো নয়। বাংলাদেশের যে সম্পদ আছে তা যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে। তবেই আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রেখে দেশ এগিয়ে যাবে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাংলাদেশের সম্পদ সীমিত, কিন্তু জনসংখ্যা বিশাল। “আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়ে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে:” বলেন তিনি।
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, সঠিক মানুষ যেন বার্ধক্য ও সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা পায় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। মুদ্রাস্ফীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি হলেও, দেশে পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই।
তিনি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। “তাহলেই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ প্রবৃদ্ধির সুফল পাবে;” বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা জানান যে তার সরকার ২০০৯ সাল থেকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, “বাকি খাতের মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে, আমাদের তা আরো কমাতে হবে।”
শেখ হাসিনা বলেন যে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়লে কৃষকরা খুশি হয়। কিন্তু ভোক্তারা ভোগান্তির শিকার হন। তাদের ওপর চাপ বাড়ে। “এ বিষয়ে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে, কীভাবে এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যায় সে সম্পর্কে আমাদের খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে;” বলেন তিনি।
জনগণের অর্থের অপচয় রোধ, এমনকি যেকোনো ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আসন্ন রমজানের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একটি সীমিত গোষ্ঠী খাদ্যপণ্য আমদানি করে।
তিনি বলেন, “তারা সবসময় এখানে একটা ম্যাচ খেলতে চায়। সেক্ষেত্রে আমাদের নিজস্ব প্রস্তুতি নিতে হবে।” নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা।