মোনালিসা॥ জুন মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্ব বাবা দিবস। এই দিনটিকে সামনে রেখে অভিনেতা জাহিদ হাসানের মেয়ে, জুহায়রা জাহিদ পুষ্পিতা খোলামেলা কথা বলেছেন তার বাবাকে নিয়ে। পুষ্পিতা বলেন, আব্বুর একটা জিনিস খারাপ লাগে। যখন টিভির পর্দায় দেখি কোনো অভিনেত্রী আন্টির সঙ্গে পার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বা গল্প করছেন, তখন। একবার টিভিতে দেখি এক আন্টির সঙ্গে পার্কে গল্প করছেন। দেখার সঙ্গে সঙ্গে আব্বুকে ফোন দিই। বলেছিলাম, ‘আব্বু, তুমি এসব করবে না। আমার ভালো লাগে না।’
আব্বু অনেকক্ষণ হেসেছিলেন। তারপর বলেছিল, ‘এটা তো সত্যি না, মা, এটা নাটক।’ আমি বলেছিলাম, ‘তবুও, তুমি করবে না।’ মজার ব্যাপার কি জানেন, আব্বু যখন তিশা আন্টির সঙ্গে আরমান ভাই সিরিজ করেছিল, তখন দারুণ লেগেছিল।
পুষ্পিতা আরো বলেন, আব্বুর সবচেয়ে বড় গুণ, তিনি আমাদের অনেক ভালোবাসেন। শুটিং ছাড়া যেদিন অবসর বা ফ্রি থাকেন, সারাক্ষণ আমাদের সঙ্গেই কাটান। ফ্রি থাকলে আমরা একসঙ্গে বাইরে কোথাও ঘুরতে যাই বা খেতে যাই। আর বাসায় থাকলে একসঙ্গে সিনেমা দেখা বা গল্প করা যেন অবধারিত। আব্বু বাসায় থাকলে আমরা তাঁর আচরণেই বুঝে ফেলি, তিনি চাইছেন আমরা যেন তাঁর চারপাশ ঘিরে ধরে থাকি।
এমন দিন গেছে, ছুটির দিন সারা দিন আমরা আব্বুর সঙ্গে কাটিয়েছি। সারাক্ষণ মজা করতে দারুণ পারেন আব্বু। এ ব্যাপারটা আমরা দুই ভাইবোনই খুব ‘এনজয়’ করি। তিনি বাসায় থাকলে পুরো বাসাটাই অন্য রকম হয়ে যায়। বদলে যায় পরিবেশ। সারাক্ষণ সবার সঙ্গেই মজা করে যান। একজন মানুষ কী করে এত ‘ফান লাভিং’ হয়, আমার মাথায় আসে না।
বাসায় থাকলে আরও একটা কাজ করেন আব্বু। সোজা রান্নাঘরে ঢুকে যান। তারপর আমাদের পছন্দের খিচুড়ি বসিয়ে দেন চুলায়। সঙ্গে হয় গরুর মাংস বা ডিম ভুনা। আব্বুর হাতের এই দুটি খাবার দারুণ মজার। এটা যে না খেয়েছে, তাকে বোঝানো যাবে না যে তাঁর রান্না আরও কতটা মজার। সঙ্গে থাকে আমার পছন্দের আব্বুর বানানো স্পেশাল সালাদ। কিন্তু আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য হলো কাজের চাপে আব্বু রান্নার সুযোগ খুব কম পান। তবুও যতটা পাই তাতেই আমি ধন্য।