সম্পাদকীয়তে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখা সম্ভবত এটিই প্রথম। হ্যা এই প্রথম চিঠিটিই লিখতে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর অতি বিশ্বস্ত এবং রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ আত্মার আত্মীয়’র হাত ধরে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আছেন এবং থাকবেন এটাই নিয়তির নির্মম সত্য এবং চক্রকারের খেলা। দেশ ও দেশবাসি আপনাকেই ভরসা করে। সেই শৈশব থেকেই আপনার নির্দেশ, আদেশ এবং দলীয় কর্মকান্ড জীবন বাজি রেখে চালিয়ে আসছি এবং বর্তমানেও যাচ্ছি। লিখাটি লিখার অর্থ হলো আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়া যে, এখন আর আমরা আপনার সাক্ষাৎ পাইনা এবং পেলেও মনের কথা বলতে পারিনা। তাই এই লিখাটি লিখার পূর্বে আপনার সেই হাস্যোউজ্জ্বল মুখখানা ও দেখানো পথ আর শেখানো শিক্ষায় এগিয়ে যেতে গিয়ে গত চলতি সংসদ অধিবেশনে এক সংসদের বক্তব্য শুনে উৎসাহিত হয়েই আজকের লিখা। তাঁর বক্তব্যটি ছিল “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাকে ও আমাদেরকে দেখেন। কিন্তু আপনার সঙ্গে বা পিছনে যারা আছেন (ক্ষমতার অধিকারী) তাদের দিকে একটু নজর দিয়েন। তাহলেই আপনার অভিপ্রায় শতভাগ পূর্ণ হবে।
আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুকে ধারণ ও লালন করে মুক্তিযোদ্ধার ঘরে জন্ম দিয়ে জন্মগত আওয়ামী লীগার হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার আমনে শক্তির দ্বারা আক্তান্ত হয়ে জীবনের সময়, অর্থ আপচয় এবং দেশ ও জাতিকে দেয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে ঘোমড়ে ঘোমড়ে মড়ছি। হয়ত এই বিষয়টি আপনিও জেনেছেন কিন্তু কাজের চাপে এবং সময়ের কঠোর বাস্তবতায় ভুলে গেছেন। তাই আজ আপনাকে বলার সময় হিসেবে এই সম্পাদকীয়কেই বেঁছে নিলাম। প্রশান্তি আপনার দেয়া একটি নাম ও সুযোগ এবং মানুষের মনে প্রশান্তি আনয়নের জন্য একটি মাধ্যমও বটে যাকে আপনার মুখপত্র হিসেবেও অনেকে চিহ্নিত করে থাকেন। এই প্রশান্তি আপনার কথা বলে, উন্নয়ন এবং মহা পরিকল্পনার কথা বলে, সত্য ও ন্যায়ের কথা বলে। আগামীর কল্যাণে বর্তমানের জয়গান গেয়ে স্তুুতি স্তবক রচনা করে। যা বিগত দিনগুলোর ধারাবাহিকতায় আগামী দিনগুলোতেও থাকবে।
প্রশান্তিকে অশান্তির পথে রেখেছে গত ৬টি বছর ধরে। যা কাউকে বলার সুযোগ নেই; কারণ উপরের দিকে থুঁথুঁ দিলে নিজের উপরই পড়ে। তবে এই বিষয়গুলোকে প্রকাশ্যে আনয়নের জন্য অনেকেই চেষ্টা করেছে কিন্তু আমি সেই চেষ্টায় সায় দেয়নি কারণ সরকার আমার, নেত্রি আমার এবং রাষ্ট্র পরিচালনায়ও আমরা। আমি শুধু বলতে চাই একটিবার আপনার সম্মুখ্যে এসে শুধু সমস্যার কথাটি বলতে। আমি কি করেছি আর কি করবো তা বলতে নয় বরং পথের কাটা বা সমস্যাটা সমাধানের কথা বলতে।
একজন মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে নিরপরাধ হয়েও ঐ সমস্যায় জর্জরিত। যাদের রক্তে আপনারই রক্ত এবং আপনারই জন্য যারা জীবন বাজি রেখে সমস্ত কাজে ঝাপিয়ে পড়ে সরকার ও দলকে শক্তিশালী করে যাচ্ছে সেই নিরপরাধ দলীয় কর্মী/ সমর্থক এবং মুক্তিযোদ্ধা কন্যা আজ বিচারহীনতায় জর্জরিত। তাই তাঁর ঐকান্তিক ইচ্ছা আপনার সঙ্গে সাক্ষাতে মনের দু:খ প্রকাশ করা। যদি আইন অনুযায়ী সে অপরাধী হয় তাহলে পৃথিবীর সর্বোচ্চ আদালতের সর্বোচ্চ শান্তি নিতে বদ্ধ পরিকর। আর আপনার নিজের লোক হয়েও কোন মার্জনা প্রার্থনা করবে না এটা শতভাগ নিশ্চিত।
আজকের লিখায় শুধু আপনাকে এবং আপনাকেই এবং আপনার সাথে দেখা করার ব্যবস্থার উদ্দেশ্যেই। আশা ও বিশ্বাস এই লিখার মাধ্যমে ভদ্র মহিলা তার মনের আশা পূর্ন করে দেশমাতা শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ পেয়ে আগামীর বাংলাদেশের সুনাম ও সুখ্যাতিতে জোড়ালো ভুমিকা রাখতে পারবে। জয় হউক আপনার এবং আপনার পরিবার পরিজনদের। বৃহৎ এই পরিবারের একমাত্র রক্ষক মহান খোদা তায়ালা আর এর সাক্ষি বাংলার জনগণসহ বিশ্বজনতা। আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হউন।