আনোয়ার, রাজশাহী প্রতিনিধি॥ মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘কোনো শিক্ষক যদি তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে না চিনেন তবে ওই স্কুলের এমপিও বাতিল করা হবে। আর শিক্ষার্থী না চেনা শিক্ষকের চাকরিও জাতীয়করণ হতে দেয়া হবে না। তার শিক্ষক হওয়ার কোনো যোগ্যতা নেই।’ নাহিদ বলেন, অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে ছুটবেন, আমাদের কর্মকর্তাদের নাজেহাল করবেন, আর শিক্ষার্থীর চেহারা চিনবেন না- এমনটি আর হতে দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ডা. কাইসার রহমান চৌধুরী অডিটরিয়ামে জঙ্গিবিরোধী এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, কেবল স্কুলেল এমপিও বাতিলই নয়, শিক্ষার্থী না চেনা শিক্ষকের চাকরিও জাতীয়করণ হতে দেওয়া হবে না। কারণ, তার শিক্ষক হওয়ার কোনো যোগ্যতা নেই। একজন শিক্ষককে তার শিক্ষার্থীর সব বিষয়ের খোঁজ রাখতে হবে।
আপনার প্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থী ১০ দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে তার অভিভাবকের সঙ্গে আপনাকে কথা বলতে হবে। অভিভাবক যদি নিশ্চিত করেন, ওই শিক্ষার্থী নিখোঁজ তবে তার ব্যাপারে প্রশাসনকে জানাতে হবে। তিনি আরও বলেন, অনেকের ধারণ, কেবল মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাই জঙ্গি হয়। তাই তারা দেশের মাদ্রাসাগুলোর নামে অপপ্রাচার চালান। তারা বলেন, মাদ্রাসা জঙ্গি তৈরীর কারখানা কিন্তু না, এখন মাদ্রাসা জঙ্গি তৈরীর কারখানা নয়। মাদ্রাসা ইসলামী শলিয়াহভিত্তিক আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি সময়ে দেশে যেসব জঙ্গি হামলা হয়েছে, তার প্রায় সবগুলোর সঙ্গে নামী-দামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়িত। এর সঙ্গে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জড়িত নয়। দু’একজন মাদ্রাসা পড়–য়া শিক্ষার্থী জঙ্গি হতে পারে। তাই বলে ‘মাদ্রাসা জঙ্গি তৈরীর কারখানা- এ কথা বলা যাবে না। মাদ্রাসার নামে অপপ্রাচার চালানো যাবে না। রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে শিক্ষার উন্নত পরিবেশ, জঙ্গিবাদ মুক্ত শিক্ষাঙ্গন’ শীর্ষক এ সভায় রাজশাহী বিভাগের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা অংশ নেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহীসদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব সোহরাব হোসেন, অতিরিক্ত সচিব এস এম এহসান কবীর ও চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক প্রফেসর শামসুল হুদা, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মনির হোসেন, জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীন, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।