ধর্ম ও ব্যবসা এবং নিষেধাজ্ঞা এই তিনটি শব্দই আলাদা কিন্তু একে অন্যের সাথে সংযুক্ত ও সম্পর্কিত। এই তিনটি শব্দের ইতিবাচক ব্যবহারে পৃথিবী হতে পারে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তায় ভরপুর এমনকি পরিপূর্ণ। বিশেষ করে ধর্ম এই বাকি দুটিকে ইতিবাচক পথে পরিচালিত হতে সহায়তা করে এমনকি দিক নির্দেশনাও দেয়। জীবন জিবিকা নির্বাহের জন্য যা প্রয়োজন তার সঙ্গে ব্যবসার বাহারি ব্যবহার জড়িত। আর এই ব্যবসাকে প্রয়োজনে এবং কল্যাণের নিমিত্তে ব্যবহারকরণে ধর্ম একটি মানদন্ড। আর নিষেধাজ্ঞা হলো ধর্মের দ্বারা সুশৃঙ্খল এবং ইতিবাচক কল্যাণের তরে এগিয়ে যাওয়ার একটি পথপ্রদর্শক মাত্র। এই নিষেধাজ্ঞা দ্বারা সককিছুকেই সঠিক পথে পরিচালিতকরণের একটি সমুজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নির্ভর নির্দেশিকা। এই নিষেধাজ্ঞা শুধু হয়েছিল সৃষ্টির পরে সর্বপ্রথম বেহেস্তে বাবা আদম ও মা হাওয়ার মাধ্যমে। সৃষ্টিকর্তা এই নিষেধাজ্ঞা সর্বপ্রথম দিয়েছিলেন বাবা আদম ও মা হাওয়াকে। বেহেস্তে সকল কিছুই করা যাবে কিন্তু একটি গাছের নিচে যাওয়া যাবেনা, আকর্ষণীয় ও লোভনীয় ঐ ফল ছোয়া যাবে না এমনকি খাওয়াও যাবেনা।
ঐ ফল ছোয়া, গাছের নিচে যাওয়া এবং ফল খাওয়ার পরের ধাপই হলো আজকের এই পৃথিবীর বর্তমান অবস্থা। ঐ গাছের নিচে যাওয়া, ফল ছোয়া এবং খাওয়ার পূর্বাবস্থাই হলো বেহেস্তে সুখ, শান্তি এবং আনন্দঘন পরিবেশে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে সময় কাটানো। যা আবার পাওয়া যাবে মৃত্যুর মাধ্যমে…।
সদ্য সমাপ্ত হলো বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উদযাপন। তামাক একটি শস্য এবং উৎপাদিত পন্য। যা কৃষক উৎপাদন করে জিবিকা নির্বাহের জন্য ব্যবহার করে থাকে। তবে তামাক কিন্তু সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি একটি শষ্যবীজ। যা মানব কল্যাণের তরে নিহিত। তবে এই তামাক কে কিভাবে মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত রাখা যায় সেই ইতিবাচক চেষ্টা করাই এখন মানুষের নিত্যদিনের কাজ। কিন্তু এই তামাক কে মানবকুল নেতিবাচকভাবে মানবতার কল্যাণের বিরুদ্ধে অকল্যাণের তরে ব্যবহার করে যাচ্ছেন। তাই আসুন জ্ঞান ও বিচার বুদ্ধি এবং সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত বিধাবলীর আলোকে আগামীর কল্যাণের তরে তামাক ব্যবহার করি। ধর্ম ও ব্যবসা এবং নিষেধাজ্ঞা এই তিনেই নিহিত রয়েছে তামাকের ইতিবাচক ব্যবহার। তাই অনুসন্ধান করি এবং সেই অনুসন্ধানি ফলের দিকে এগিয়ে গিয়ে তামাকজাত পন্যকে ইতিবাচকতায় নিয়োজিত করি।
আইন দ্বারা ব্যবসায়িক ক্ষতি সাধন কাম্য নয় বরং আইন দিয়ে ব্যবসায়িক উন্নতি সাধানই কাম্য। তবে নেতিবাচক ব্যবসার অনুমতি রহিত করে ইতিবাচক ব্যবসার কলেবর বা ব্যাপ্তি বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করার সময় এখন। তবে গভেষনা করে দেখা যাক যে, তামাক কি কি উপকারে আসে এবং কি কি ক্ষতি করে। এযাবত কালে যে ক্ষতির তালিকা পাওয়া গিয়েছে সেই ক্ষতি থেকে বের হয়ে আসার কি কি উপায় আছে? আসুন তামাক এর উপকারিতার দিকে মনোনিবেশ করি এবং এর উপযোগীতা বিশ্লেষণ করে তামাক ব্যবহারে সচেতন হই। তামাক নিমূল নয় বরং তামাক উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করি। তামাক কে ক্ষতিকরভাবে ব্যবহার নয় বরং তামাককে উপকারের লক্ষ্যে কল্যাণের তরে ব্যবহারের দিকে এগিয়ে যায়। যারা তামাক ব্যবসায় নেতিবাচকতায় নিয়োজিত এবং লাভের আশায় ক্ষতির দিকে ঝুকেছেন তাদের জ্ঞান বুদ্ধি ব্যবহার করে এই ব্যবসাকে উপকারের তালিকায় নিয়ে কল্যাণের তরে নিয়োজিত রেখে মুনাফা অর্জন সফল করুন; সচেতন করুন এবং সক্ষম করে তুলোন। সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায় এবং জ্ঞান ও আদেশ-নিষেধ যা শরীয়ত বা আইন হিসেবে স্বীকৃত তা বিশ্লেষণ করে আগামীর কল্যাণের তরে তামাক ও তামাকজাত পন্য ব্যবহার করুন। শুধু তামাক নয় বরং সকল পন্যের বা ব্যবসায় সফল বাস্তবায়নে ইতিবাচক ও কল্যাণের তরে নিবেদিত এমনকি নিয়োজিত রাখুন। ব্যবসার দ্বার উন্মোচিত এবং উন্মুক্ত। এর ব্যাপ্তি ও কলেবর বৃদ্ধিতে মনযোগী হউন। ব্যবসা বন্ধে নয় সম্প্রসারণে অগ্রগামী হউন। ইতিবাচক এবং নেতিবাচক এই দুটি শব্দকে পৃথক করুন এবং এই দুটি শব্দের সঙ্গে ভালকরে পরিচিত হউন। অথবা ধর্মদ্বারা উদ্ধৃত বানীর আলোকে যা আমাদের জন্য বৈধ এবং করা উচিত সেই দিকে মনযোগ দিন। আর যা আমাদেরকে নিষেধ করেছে সেইদিকে গভীর মনযোগ দিয়ে অগ্রসর হউন। নতুবা বেহেস্ত থেকে বিতাড়িতের পরের ধাপের পরের ধাপ আরো ভয়ঙ্কর এবং কঠিন তাই এই ভয়ঙ্কর কঠিন রূঢ় রূপ প্রত্যক্ষকরণের চেয়ে সকল নেতিবাচকতা পরিহার করা এমনকি ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা পালন করা খুবই সহজ। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে বোঝার তৌফিক দিন এবং ধর্ম ও ব্যবসা এবং নিষেধাজ্ঞা এর পরিপূর্ণ রূপদানে নিয়োজিত থাকতে সহায়তা করুন।