প্রশান্তি ডেক্স ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ নেতার গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী আয়াশ রহমান ইজাজের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বাদ এশা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মাঠে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জনপ্রতিনিধি, এলাকার বিশিষ্টজনসহ হাজারও মানুষ অংশ নেন।
এ সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীর পক্ষ থেকে নিহতের কফিনে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জানাজা শেষে নিহতের গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার সুহিলপুরে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, রাত সোয়া ৮টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে গুলিতে নিহত আয়াশ আহমেদ ইজাজের মরদেহ পৌঁছায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কলেজ পাড়ার বাসভবনে। এ সময় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পরে বাদ এশা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মাঠে নিহতের নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় নবনির্বাচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন, জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহনুর ইসলাম ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচিসহ অনেকে অংশগ্রহণ করেন। তারা এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানান। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটবে ভাবতেও পারিনি। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত, অস্ত্রবাজ, সন্ত্রাসী এবং নেপর্থ্যের নায়ক তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। এ সময় তিনি আয়াশ রহমান ইজাজের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন জানান, আয়াশ রহমান ইজাজকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে আজ রাত ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পিতা আমিনুর রহমান। মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি জালাল হোসেন ভূঁইয়া খোকাকে হুকুমের প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া গুলি করা ঘাতক হাসান আল ফারাবি জয়কে অন্যতম প্রধান আসামি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘাতক হাসান আল ফারাবি জয়কে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।