প্রশান্তি ডেক্স ॥ আর মাত্র একদিন পরেই মুসলমানদের অন্যতম বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ইতোমধ্যে সারা দেশে জমজমাট হয়ে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। তবে রাজধানীতে তা এখনও জমে উঠেনি। কারণ গতকাল থেকেই কেবল রাজধানীতে আনুষ্ঠানিকভাবে পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীদের বর্ণনানুযায়ী গতকাল থেকেই রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে বেচাকেনা জমে উঠেছে।
এ বছর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট ১১টি কোরবানির পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে ১০টি অস্থায়ী এবং একটি স্থায়ী। এবার পশুর হাট ইজারা বাবদ ৩১ কোটি ৫ লাখ ৯০ হাজার ৭৬৬ টাকা আয় করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। জানা যায় ২ কোটি ৪১ লাখ টাকা দিয়ে উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারেরর মৈত্রী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন হাটটি ইজারা নিয়েছেন মো. হামিদুল হক। ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন হাটটি ৬ কোটি ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৬ টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছেন মুহাম্মদ আবুল হাসনাত এবং পোস্তাগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন হাটটি ২ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছেন মো. মঈন উদ্দিন চিশতী।
এছাড়া মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন এই হাট ৩ কোটি ৭১ লাখ ১ হাজার ১০০ টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছেন আবু সাইদ। লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গাসহ কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গার হাটটি ৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছেন মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন সরকার। দনিয়া কলেজ সংলগ্ন ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের হাটটি ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছেন মো. কামরুজ্জামান।
ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকার হাটটি ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছেন আসফাক আজীম। আমুলিয়া মডেল টাউন সংলগ্ন হাটটি ৬৫ লাখ টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছেন মো. এমদাদুর রহমান। রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন হাটটি ৭১ লাখ ১২ হাজার টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছেন মোহাম্মদ সালমান সেলিম (আশিক)। শ্যামপুর কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন পশুর হাটের ৭৫ লাখ ১ হাজার টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছেন মো. সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ)।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একমাত্র স্থায়ী পশুর হাট সারুলিয়া পশুর হাট। ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়ে এই হাট ইজারা নিয়েছেন মো. রানা আহমেদ।
অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা নেওয়া কয়েকজন ইজারাদারের সঙ্গে কথা হয় এবং তারা জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যারা কোরবানির পশু হাটে নিয়ে এসেছেন তাদের যাতে কোনও ধরনের অসুবিধা না হয় আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি। তারা যেন ঠিকমতো গোসল করতে পারে, নিরাপদ খাবার পানি খেতে পারে আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি।
এদিকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সবগুলো পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য একটি করে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের। তিনি বলেন, প্রতিটি মনিটরিং কমিটিতে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এছাড়া ডিএসসিসির নির্ধারিত গাইডলাইনের বাইরে কোনও অনিয়ম দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।