বর্তমান পৃথিবির চাহিদা ও সময়ের দাবী এবং ধর্মীয় ঐক্যবদ্ধ সার্বজনীন আহবান হলো আমাদের পরিচ্ছন্ন জীবন এবং পরিচ্ছন্ন কর্ম। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রেখেছেন এই পরিচ্ছন্ন জীবন ও পরিচ্ছন্ন কর্ম সম্পাদনের জন্য। তিনি আমাদের সকল কিছুর জোগান দিয়ে যাচ্ছেন এবং আমাদেরকে ব্যবহার করার জন্য অভিপ্রায় ব্যক্ত করছেন। প্রতিনিয়ত তিনি আমাদেরকে ডাকছেন এবং আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু আমরা তাঁর ডাক শুনছি না বা তাঁর অপেক্ষার অবসান ঘটাচ্ছি না। কারণ কি???
আমরা জানি দুনিয়া আমাদেরকে যেভাবে দেয় সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে সেইভাবে দেয় না। বরং সৃষ্টিকর্তার দেয়া উপহার আমাদের কল্যাণের, শান্তির এবং নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা এবং চিরস্থায়ী আনন্দেও জন্য। কিন্তু দুনিয়ার দেয়া আমাদের সকল অশান্তির কারন এমনকি দু:খ, হতাশা, অকল্যাণ, অনিশ্চয়তা ঘ্রাস করা সাজানো পাপের পসরা। আমরা তারপরও এই পাপের পসরাকেই সাময়িক আনন্দ এবং ক্ষণস্থায়ী জীবনের স্বাদ-আহলাদ পুরণের নিমিত্তেই তৎপর থাকি। কিন্তু চিরস্থায়ী স্বাধ-আহলাদ এবং নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তায় থাকতে অনাগ্রহী। তাই সময় এখনও আছে যেন আমরা ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং যুগের দাবি ও চাহিদার কাছ থেকে আর সময় ও বাস্তবতার নিরীখে ধর্মীয় ও জ্ঞানের ব্যবহারে আগামীর করণীয় ঠীক করি।
বর্তমানে পৃথিবীতে জাগতিকতায় মগ্ন সকল সৃষ্টি। কিন্তু এই জাগতিকতা থেকে বের করে আনার দায়িত্ব সৃষ্টিকর্তা আমাকে ও আপনাকে দিয়েছেন। তাই আসুন সবাইকে ভালবাসা এবং ক্ষমায় এমনকি নি:শর্ত আলিঙ্গনে আবদ্ধ করে সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে নিয়ে আসি এবং একসঙ্গে সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায় বাস্তবায়ন যুক্ত থাকি। সকলেই আমরা সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে এসেছি এবং তাঁরই কাছে ফিরে যাব এমনকি তাঁরই কাছে সকল কিছুর হিসাব বা জবাবদীহি করব। তাই তাঁর দেয়া বিনামূল্যের দান যা আমাদের জন্য দিয়েছেন তা গ্রহণ করে বেহেস্তের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তাটুকু নিশ্চিত করি। দুনিয়াবী লোভ-লালনা এবং কামনা-বাসনা থেকে নিজেদেরকে দুরে রাখি। দুনিয়ার চাকচিক্যেও আহবানে এমনকি জাগতিকতার ও মাংসিক চাহিদার আহবানে সাড়া না দিয়ে বরং সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায়ের আহবানে সাড়া দিই।
দুনিয়ার জাক-জমক ও চাক-চিক্য মানুষকে দুনিয়াতেও লজ্জায় ফেলে এমনকি আখেরাতেও অনিশ্চয়তায় ফেলে। সর্বশক্তিমান খোদা তায়ালার কাছে মুখ দেখানোর কোন সুযোগ আর অবশিষ্ট থাকে না। বর্তমানে আমাদের সমাজে মিডিয়ার কল্যাণে দৃশ্যমান রয়েছে দুনিয়াবী কামিয়াবীর কিছু নজির। যারা সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায়কে বিসর্জন দিয়ে দুনিয়াকে গ্রহণ করেছেন এবং বিবেক বিসর্জন দিয়ে নীতি ও আদর্শর্কে জলাঞ্জলী দিয়েছেন। এখন তারাই মানুষের সামনে আসতে অক্ষম এবং লজ্জ্বা ও ঘৃণায় পরিণত হওয়া এমনকি দুনিয়ার বিচারের অধিন হওয়া ব্যক্তিদের কাতারে। ভাবুনতো শেষ বিচারের দিন এই অবস্থায় আমাদের কি হবে। কিভাবে আমরা সৃষ্টিকর্তার সামনে দাঁড়াব; মুখ দেখাব। তাই সাবধান সময় এখনও আছে নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করার।
স্ব স্ব দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে সৃষ্টিকর্তার দেয়া উপহার গ্রহণ করে আগামীর কল্যাণে অগ্রসর হবো এবং কল্যাণের সহিত নিজের কর্ম ও জীবন দিয়ে সৃষ্টিকর্তার গৌরব, মহিমা এবং প্রশংসা ঘোষণা করিব। সরকারী এবং বেসরকারী কর্মীদের সকলের প্রতি আহবান পরিচ্ছন্ন জীবন ও পরিচ্ছন্ন কর্ম সম্পাদনে মনযোগী হউন। সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে প্রাপ্য উপহার গ্রহণে প্রস্তুত হউন। আগামীর সকল কল্যাণ, শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চয়তা নিজে ভোগ করুন এবং অন্যকে ভোগ করানোর কাজে নিয়োজিত হউন। সৃষ্টিকর্তার একটি বানী হলো “তোমরা যেরকম ব্যবহার আশা কর ঠিক সেইরকম ব্যবহার আগে করে দেখাও।”