আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ মালয়েশিয়ায় অবৈধদের বৈধ হওয়ার জন্য আবেদন করার সুযোগ শেষ হচ্ছে গত ৩০ জুন। এরপর অবৈধ কেউ ধরা পড়লে ৫০ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের জেল অথবা উভয় দন্ড দেয়া হবে। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৈধতার জন্য বেঁধে দেয়া সময়সীমা আর বাড়ানো হচ্ছেনা। এরপর আবারো চিরুনি অভিযান শুরু হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে বিভিন্ন কারণে এখনও হাজার হাজার বাংলাদেশি বৈধ হতে আবেদন করেননি। কারণ, মালয়েশিয়ান সরকার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যাদের বৈধ হওয়ার জন্য আবেদন করতে বলেছে তারা ওই ক্যাটাগরির অবৈধ নয়। তারা কেউ সাগর পথে পাচারকারীদের মিথ্যা প্রলোভনে এসেছেন, কেউবা বৈধ পথে ষ্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় এসে তারপর অবৈধ হয়ে পড়েছেন। তারা পুলিশি অভিযানের কারণে কয়েক মাস ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ৩০ জুনের পর চিরুনি অভিযানের আগাম ঘোষণায় তারা এখন গ্রেফতার আতংকে আছেন।
এদিকে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, যারা রি-হায়ারিংয়ে অংশ গ্রহণ করবে না এবং যেই কোম্পানির মালিকগণ অবৈধ শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাবে তাদেরকে মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী ১৯৫৯/৬৩ অনুচ্ছেদের ৫৫ (বি) ধারা মোতাবেক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কোন স্থানে যদি অবৈধ শ্রমিক পাওয়া যায় তাহলে মালিকপক্ষ ও কর্মচারিকে ৫০ হাজার রিঙ্গিত জরিমানাসহ ১ বছরের জেল কার্যকর করা হবে। অন্য আরেকটি আইনে আছে কোন মালিকপক্ষ যদি ৫ জনের অধিক অবৈধ শ্রমিক রাখে তাহলে ৫ বছরের জেল কার্যকর হবে।
মালয়েশিয়ায় চলমান ‘অবৈধ’ বিদেশী শ্রমিকদের বৈধকরণ (রি-হায়ারিং) প্রকল্পে ১৩ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশীসহ এক লাখ ২৪ হাজার ২৭৯ জন শ্রমিক নিবন্ধন করেছেন। তবে, এখনও বহু সংখ্যক বাংলাদেশি অবৈধ শ্রমিক বৈধতার জন্য আবেদন করেননি। ষ্টুডেন্ট ভিসা ও সাগর পথে মালয়েশিয়ায় যারা প্রবেশ করেছেন তাদের বৈধ করা হবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে সেখারকার উপপ্রধানমন্ত্রী ডঃ হামিদ জাহিদি। ওই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের অনেক অবৈধ শ্রমিক আছে বলে জানা গেছে।