মানুষের স্বার্থে পদত্যাগ করতে রাজি আছি: মমতা

প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স ॥ এরা এসেছিল বিচার পেতে নয়। ওরা চেয়ার চায়। মানুষের স্বার্থে আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাই না। আমি চাই তিলোত্তমা বিচার পাক। সাধারণ মানুষ বিচার পাক। গত বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকের একদম শেষে এ কথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যদিও শেষ পর্যন্ত আরজি করের ঘটনায় আন্দোলনরত নবীন চিকিৎসকরা বৈঠক করতে নবান্ন গেলেও সরাসরি সম্প্রচারের অনুমতি দেওয়া হয়নি সরকারের তরফে। কিন্তু, লাইভ ছাড়া আলোচনা সম্ভব নয়, সাফ জানিয়ে দেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। এরইমধ্যে একবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যসচিব ও ডিজি। শেষে মাঠে নামতে দেখা যায় মমতাকে।

সাংবাদিক বৈঠকে একই সুর শোনা যায় মমতার গলাতেও। তিনি বলেন, আমরা ছোটদের ডেকেছিলাম। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমরা ভেবেছিলাম আজ সমাধান হয়ে যাবে। আজ আমি তাদের ডাকিনি, যাদের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ আছে। কিন্তু, নবান্নের দোরগোড়ায় এসেও বসলেন না। এরপর যদি ওরা বসতে চান, আমি আমার মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজিকে বলব, আপনারা বসুন।

এখানেই না থেমে আন্দোলনকারীদের কোর্টে বল ঠেলে আরও তিনি বলেন, এরপরও আমরা কোনও অ্যাকশন নেব না। অনেক ধৈর্য ধরেছি। অনেক সময় ধৈর্য ধরতে হয়। অনেক গ্রুপের মধ্যে অনেকে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কিছু গ্রুপ অন্যদের থেকে ইনস্ট্রাকশন পাচ্ছিল। আমাদের কাছে সব তথ্য আছে।

আন্দোলনকারীদের ‘ছোট ভাইবোন’ বলে সম্বোধন করে মমতা বলেন, এরা এসেছিল বিচার পেতে নয়। ওরা চেয়ার চায়। মানুষের স্বার্থে আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাই না।

যদিও মমতার এই মন্তব্যকে সমর্থন করেন না বলেই জানান আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। নবান্ন চত্বরে দাঁড়িয়ে নবীন চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বলেন, আমরা খুব বিনীতভাবে জানাতে চাই, ম্যাডাম আমরা চেয়ারের জন্য কোনও আলোচনা করতে আসিনি। আপনি ভাবলে ভুল ভেবেছেন। আমরা ন্যায়বিচারের দাবিতে এসেছিলাম। ৫টি দাবি নিয়ে সুষ্ঠু আলোচনার জন্য এসেছিলাম। উনি যে মন্তব্য করলেন তাতে আমরা খুব হতাশ হয়েছি। আমরা এমন কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে আসিনি। চেয়ারটার প্রতি ভরসা রেখেই আমরা এসেছি।

আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ৩৪তম দিনে এসে আলোচনাটা ফলপ্রসূ হওয়া খুব দরকার ছিল। কিন্তু হলো না। কেন তারা সরাসরি সম্প্রচার নিয়ে অনড় সে প্রসঙ্গে বলেন, এই আন্দোলন এখন পশ্চিমবঙ্গের সব মানুষের। তাই আমরা মিটিংয়ের সরাসরি সম্প্রচার দাবি করেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.