সরকার ও আগামীর দিক নির্দেশনা

বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের দিকনির্দেশনায় এগিয়ে যাচ্ছে দেশের গতি প্রকৃতি। তবে এই সময়ে এসে যে ধারাবাহিকতা থাকার কথা ছিল তা নেই কিন্তু দেশের আইন-শৃঙ্খলা এবং উন্নয়ন-আগ্রগতি ও শান্তি-শৃঙ্খলায় বেজায় চটেছে মানুষের মন। অপরদিকে বাজার থেকে একরাশ হতাশা নিয়ে মানুষ ঘরে ফিরে এই সরকারকে ভৎসনাও করছে। সব মিলিয়ে যেন একটি হযবরল অবস্থায় মন্থর গতিতে এগিয়ে চলেছে দেশ ও দেশের জনগণ। তবে সকল ক্ষেত্রেই অনিশ্চয়তা বিরাজমান।

বর্তমান সরকার কতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছেন কিন্তু তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি তবে তা বাস্তবায়নাধিন অবস্থায় প্রক্রিয়াগত রয়েছে। এই পদক্ষেপগুলো যদি সুন্দর ও সুচারুরূপে বাস্তবায়ন করে যেতে পারে তাহলে বর্তমান সরকারকে এই জাতি গ্রহণ করে আরো দীর্ঘদিনের দেশ শাসনের দায়িত্বভার দিবে। তবে এই প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রীতা নতুন করে জটিলতার সৃষ্টি করবে। তবে এই সরকারেও পুর্ববর্তী সরকারের স্বার্থচোষা মানুষজন আডার মত লেগে আছে বহুমাত্রীক লেভেলযুক্ত অবস্থায়। তাই সকল কিছু সাবধানে করতে হবে নতুবা গত হওয়া সরকারের পথেই বিদায় অসন্ন।

ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো বর্তমান সরকার এবং সরকারের গঠনমূলক ইতিবাচক কল্যাণকর পদক্ষেপগুলোকে ভালো চোখে দেখছেন না বরং মন্দের ভাল হিসেবে কিছুটা দিন অপেক্ষা করতে চাইছেন মাত্র। তারপরও তারা বিভিন্নভাবে আকারে ইঙ্গিতে হুমকি ও ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। যা দেখে ও শুনে তাদের আঁতে ঘঁ্যা লেগেছে বলে মনে হয়। কেউ কেউ ভাবছেন যদি ইউনুছ সরকার এইসকল ভালকাজগুলো করে ফেলে তাহলেতো আমাদের আর কোন প্রয়োজন নেই; বরং জনগণ আমাদেরকে প্রত্যাখ্যান করে ইউনুছ সরকারের ধারাবাহিকতা সায় দেবে।

তাই বলি এই সরকারকে আরো তৎপর হয়ে জনকল্যাণে কার্যকর ভুমিকা রাখতে হবে। নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি এমনকি দখল বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। জনমনে স্থায়ীভাবে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। ভয়ের রাজ্যে এখন অভয়ারণ্য ফিরিয়ে দিতে হবে। সমালোচনা ও গালা-গালি দিলেই মামলা দেয়া চলবে না এমনকি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ভুল জবাব এমনকি হাস্যকর কথা বলা যাবে না।

বিগত সরকারের আমলে যারা মামলায় কারাবরণ করেছিলেন এবং হামলার স্বীকারে পরিণত হয়েছিলেন (সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতা এমনকি সুশিলরা) তাদের মূল্যায়ন করে পরামর্শকের ভূমিকায় ব্যবহার করতে হবে। তাদেরকে দিয়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করিয়ে সরকারের উপর ঝেকেবসা কাজের চাপ কমাতে হবে। নতুবা একার পক্ষে এই জঞ্জাল দুর করা ইউনুছ সরকারের পক্ষে সম্ভবপর হয়ে উঠবে না। যতই দিন যাচ্ছে ততই পরিস্থিতি হাতছাড়া হচ্ছে। খরগুস ও কচ্ছপের কাহিনীতে রূপান্তরিতে হওয়ার আগেই সকল ব্যবস্তা স্থায়ীভাবে পাকাপোক্ত করতে হবে। আভিজ্ঞতা ও জ্ঞান এবং সুদূরপ্রসারি চিন্তা এবং কাজের সমন্বয় সাধনের জন্য নির্যাতিতদের সঙ্গে বসুন এবং তাদের পরামর্শে নিজেদেরকে সাজিয়ে তুলুন। গতানুগতিক মালমা দিয়ে সমালোচনার দায় না নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে মামলা দিয়ে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে শাস্তি নিশ্চিত করুন। লোকদেখানো কোন কাজ করবেন না এমনকি হাসির খোরাকেও পরিণত হবেন না। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মানে নিজেদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রমান করুন। এখন সময় প্রমান করার এবং দেশকে দেয়ার। যদি প্রয়োজন হয় আমরা সহযোগীতায় প্রস্তুত।

Leave a Reply

Your email address will not be published.