আ.লীগের মতো কতিপয় রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংবিধানপ্রীতি জন্মেছে: হাসনাত আবদুল্লাহ

প্রশান্তি ডেক্স ॥ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৬ বছরে যে শব্দগুলো মিডিয়াতে আমাদের শুনতে হতো সেটি হলো, সংবিধান সমুন্নত রাখতে হবে, সংবিধানের বাইরে যাওয়া যাবে না, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনা যাবে না। সংবিধানকে একধরনের ধর্মগ্রন্থ হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার সেটাকে সামনে রেখে ফ্যাসিস্ট রাজত্ব কায়েম করেছে। আজকে কতিপয় রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই ধরনের সংবিধানপ্রীতি জন্ম নিয়েছে। আমরা আপনাদের বলতে চাই, এগুলো হচ্ছে ফ্যাসিস্টদের ভাষা, এগুলো আওয়ামী লীগের ভাষা।’ গত বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তেঁতুলতলায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি বিএনপিকে বলতে চাই, আপনারা আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আসতে আহ্বান জানাচ্ছেন। আপনারা বলছেন যে, আওয়ামী লীগকে নিয়ে আপনারা নির্বাচনে যেতে চান। আপনারা একবার ভেবে দেখেন, ওয়াসিম যদি বেঁচে থাকতো আপনারা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন কিনা? আমরা মনে করি, ওয়াসিম যে রক্ত দিয়েছে, আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত হওয়ার আগে আবার যদি কোনও রাজনৈতিক কার্যক্রমে আপনারা তাদের আহ্বান জানান, তাহলে ২৪-এর অভ্যুত্থানে যারা রক্ত দিয়েছে সেই রক্তের সঙ্গে আপনারা বেইমানি করবেন। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করতে চাই, আপনারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যেভাবে গত ১৬ বছরে আপনাদের অবস্থান ধরে রেখেছেন, ঠিক সেভাবে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের প্রতি বিরুদ্ধাচারণ সেটি ৫ আগস্টের আগের মতো হবে। কোনও সমঝোতার রাজনীতি, কোনও সেটেলমেন্টের রাজনীতি, কেউ যদি করার চেষ্টা করে, সেটা হবে ছাত্র-নাগরিকের রক্তের সঙ্গে প্রতারণা।’

এ সময় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, ‘আপনারা যদি নিষিদ্ধ কোনও সংগঠন এবং ফ্যাসিস্টদের প্রচার-প্রসার করেন, আপনারা সেখানে নৈতিকভাবে দায়বদ্ধ থাকবেন। কোনও সভ্য দেশে দুই হাজারের বেশি মানুষকে খুন করার পরে তার বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কীভাবে তাদের রাজনীতিতে আবার পুনর্বাসনের কথা বলেন। কোনও সভ্য সমাজ সেটা দিতে পারে না।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমেরিকায় কে নির্বাচিত হলো, সেটি দিয়ে বাংলাদেশের পলিসি নির্ধারিত হবে না। বাংলাদেশের পলিসি নির্ধারিত হবে ওয়াসিমের রক্ত, মুগ্ধের রক্ত, আবু সাঈদের রক্তের দাগের ওপর ভিত্তি করে। মোদি বা কোন ওয়েস্টের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না। বাংলাদেশ চলবে বাংলাদেশের ছাত্র-নাগরিকের প্রেসক্রিপশনে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.