করণীয়তেহা-হা-কার

কি প্রয়োজন আর কি প্রয়োজন না তা ঠিক করে কাজে নেমে পড়ার সময়েই যত জঞ্জাল এসে চেপে বসেছে সরকারের উপর। এই সরকারের নিকট সকলের প্রত্যাশাই আকাশচুম্বি। কিন্তু সেই প্রত্যাশার শতভাগ না হউক অন্তত নূন্যতম ৫০ভাগতো পুরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে? এই প্রচেষ্টায় যত বাধা বিপত্তি এবং ঘাপলা ও জটলা পেকে আছে। অতিব জাতীয় জরুরী জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নির্বাচন করে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ এবং বাস্তবায়ন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করানো এখন সময়ের এবং যুগের ও জনতার একমাত্র দাবী আর চাওয়া এবং পাওয়া।

গত তিনমাসে সরকার অনেক কিছু করেছ কিন্তু কাজের কাজটুকুই করতে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণ কি চায় তা নির্ধারণ করতেও অপারগই বলে মনে হচ্ছে। জনগণের প্রত্যাশার বাইরে গিয়েই শেখ হাসিনার বিদায় ঘন্টা বেজেছে। জনবিস্ফোরণ এখন অপেক্ষার পালা নয় বরং অতি অল্প সময়েই প্রত্যক্ষ করার পালা। তবে এই জনবিস্ফোরণের সঙ্গে বর্তমার সরকার বিরোধীরা কিন্তু বসে নেই তা মনে রাখতে হবে।

জনগণের প্রায়োগিক এবং অতিব গুরুত্বপূর্ণ প্রধানতম বিষয়গুলো হলো: নিশ্চয়তা, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান, শিক্ষা এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং সকল কিছুর পরিপূর্ণতা। এই বিষয়গুলোতেই এখন ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। খাদ্যের অকাল এবং দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতি ও লাগামহীন মুল্যবৃদ্ধি। শিক্ষায় অবর্ণনীয় বিশৃঙ্খলা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসায় বিমাতাসূলভ আচরণ এবং আগষ্টের আহতদের প্রতি রাষ্ট্রের উদাসিনতা, নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তায় এখন অশনি সংকেত বেজেই যাচ্ছে। মোট কথা মানুষের সামনে এখন অন্ধকার আর অন্ধকার হাতছানি দিয়ে ডাকছে। দিশেহারা ও গতিহারা এবং পথহারা আর অশান্তির আগুনে দাও দাও করে জ্বলা মানুষগুলো দ্বিক-বিদ্বিক ছোটাছোটা করছে। কোথায় যাবে, কার কাছে বলবে এবং কিভাবে চলবে আর কেইবা দিবে দিশা ও আশার সঞ্চার। এই সময় এবং স্রোতকে কেউ থামানের চেষ্টা করছে বলে মনে হচ্ছে না।

দিন দিন জুলাই এবং আগষ্ট এর গতিময়তায় ছন্দপতন ঘটছে। মানুষজন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে আর সকলের অসযোগীতায় সরকারকে বিষম বেকায়দায় পড়ার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এই চলমান নৈরাজ্যময় অবস্থান থেকে জাতি উত্তরণের কোন আশার আলো দেখছে না। তারপরও বলব এখনও সময় আছে আগামীর কল্যাণের জন্য হাল ধরুন এবং কাজ করুন। আমাদের সহযোগীতা অব্যাহত রয়েছে আপনার এবং দেশের তরে।

উপদেষ্টাগণ চেষ্টা করছেন এবং এখানে অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের গতিময়তার সন্নিবেশে সমন্বয়হীনতার লক্ষণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। আর উপদেষ্টা নিয়োগেও ভুলেভরা রাজনীতির পুর্ভাবাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে এইসকল বিষয়গুলোকে আরো গুরুত্ব দিয়ে কাজে অগ্রসর হওয়ার বিনীত বিনয়ী আহবান রাখছি।

দেশের সকল স্থানে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই একটি মরণব্যাধি হিসেবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই এই মরণব্যাধি থেকে দেশবাসিকে মুক্তি দিন এবং মুক্ত করুন। দিনে-দুপুরে, রাতে-বিরাতে এইসকল বিষয়গুলো গুরপাক খাচ্ছে তাই জনতার স্বস্তী এবং শান্তি নিশ্চিতে কাজ করুন। দল-মত ও পথের উদ্ধে উঠে ঐসকল বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিন। জনমনে স্বস্তি ও শান্তি ফিরিয়ে আনুন এবং আগামীর স্থিতিশীল নিশ্চয়তাই পরিপূর্ন বাংলাদেশ দৃষ্টান্তের অভয়ারণ্যে পরিণত করুন। এই মিনতি রেখেই আপনাদের প্রতি আগামীর শুভ কামনা রাখছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.