ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন ও প্রস্তাবিত পৌরসভা কুটি এলাকার ৫ জন ইউপি সদস্যসহ ১৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলন করে আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগে যোগদান করে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। গত বুধবার সকাল ১১টায় কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুর রহমান স্বপনের বাসভবনে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন করে তাদের অতীত জীবনের নানা কষ্ট ও দুঃখের কথা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুটি বাজার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা শ্রী সুজিত কুমার রায়। সংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন; শিল্পপতি শ্রী মন্তুষ কুমার সাহা, অলি আহাদ, মুক্তিযোদ্ধা আবদু মেম্বার, হিরন মেম্বার, সিরাজ মিয়া, আবদুল লতিফ মেম্বার, শাহআলম মেম্বার, বন্দন কুমার সাহা, হাজী মুসলেহ উদ্দিন মুন্সী, বাহার উদ্দিন মুন্সী, এলিম মিয়া, আবদুল হানিফ, রহমত আলী, আবুল মিয়া ও রেহেনা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন; বর্তমান মন্ত্রী মহোদয়ের নেতৃত্বে কুটি এলাকায় স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতি চর্চা হচ্ছে। আমরা যারা অতীতে আওয়ামী লীগ থেকে মনের দুঃখে সরে গিয়েছিলাম এর মূল কারণ ছিলো; জাতীয় পার্টির নেতা ইদন মেম্বার তার পুত্র কুটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান লিটন ও বিএনপি নেতা অমলেন্দু সাহা। তারা কুটিতে বিভিন্ন সময় ত্রাসের রাজনীতি সৃষ্টি করেছিলো। কুটি বাজারে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ভিটী দখল ছিলো নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। তারা বিচারের নামে প্রহসন করতো। মোখলেছুর রহমানের বাবা ইদন মেম্বার, অমলেন্দু সাহা শাহপুর থেকে গুন্ডা বাহিনী এনে ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে আমাদের শাস্তি দিয়েছিলো। অত্যাচার করেছিলো। ২০০১ সালেও বিএনপি পাশ করার পর আমাদের উপর নির্মম অত্যাচার নেমে আসে। সেই অত্যাচারী কালো ছায়া কথিত আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেছুর রহমান লিটন যার বিরুদ্ধে বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা রয়েছে। সে নিজ ক্ষমতা বলে ২০০১ সাল থেকে কুটি বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হয়ে অনেক অন্যায় করেছে। চাঁদাবাজ, বিচারের নামে নিরীহ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঘুষ আদায়, ভূমি দখল ও বেদখল দিয়ে মানুষকে হয়রানী করে ফায়দা লুটছে। এসমস্ত বিষয়ে দলের উপজেলা নেতা, জেলা নেতা ও এমপির কাছে বিচার চেয়ে ফল পাওয়া যায়নি। এখন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ক্ষমতায় এসে সাধারণ সম্পাদকের কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়ায় আমরা আনন্দিত। সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বাকী জীবন আওয়ামী লীগ করে মৃত্যুবরণ করতে চান। তারা বলেন; অতীতে তারা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে কেউ মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছেন, কেউ সহায্য করেছেন। তারা সকলেই ছিলেন; বঙ্গবন্ধুর সহকর্মী এডভোকেট সিরাজুল হকের কর্মী।
মন্তোষ কুমার বলেন; লিটন মসজিদ, মন্দির ও স্কুল কলেজের পদ দেবে বলেও মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ঘুষ খেয়েছে। এখন আমরা জানমাল দিয়ে আওয়ামী লীগ করবো। আনিসুল হকের উন্নয়নে রাজনীতির সংগে সম্পৃক্ত থেকে মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই।