ভজন শংকর আচার্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের পাতাইসার গ্রামে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে অবৈধভাবে বাউন্ডারী দেয়াল ভেংগে ফেলা সহ গাছ চুরির অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ওয়ারিস সূত্রে ভোগদখলকার অবস্থায় প্রকৃত মালিক ইঞ্জিনিয়ার মনির হোসেন গংদের প্রায় ৫০ বছরের দখলীয় ভূমি অবৈধ ভাবে দখলে নেয়ার জন্য একই গ্রামের মৃত তালেব আলীর পুত্র সানু মিয়া গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত মতবিরোধ চলে আসছে। ওই চক্রটি গত ১৫ জুলাই সকালে আতর্কিত হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় ভূমিতে থাকা সীমানা নির্ধারনী ইটের তৈরি ১৪০ ফুট বাউন্ডারী দেয়াল জোরপুর্বক ভেংগে ফেলে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে।
তাছাড়া ওই চক্রটি ৩টি বড় গাছ এবং ২০টি কাঠালের চারা গাছ জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসী এহেন কাজে বাধা দিতে এলে বাদী ইঞ্জিনিয়ার মনির হোসেনের বড় ভাই অবসর প্রাপ্ত প্রবীন শিক্ষক মো.জাকির হোসেনকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করত প্রানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। ইঞ্জিনিয়ার মনির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সন্ত্রাসী ঘটনাটি এলাকার সরদার ও মুরব্বীদের অবগত করা হলে বিলম্বিত হওয়ায় পরবর্তীতে গত ১৮ জুলাই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য ৬ জনকে আসামী করে দ্রুতবিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আসামীগন হচ্ছেন: পাতাইসার গ্রামের মৃত তালেব আলীর পুত্র সানু মিয়া (৬০), মুসা মিয়ার পুত্র অলি মিয়া (২২), দুলাল মিয়া (২৫) ও হেলাল মিয়া (৩০), সানু মিয়ার পুত্র মামুন মিয়া (২৫) এবং মৃত আবদুল অহেদের পুত্র আইয়ুব আলী (২৮)।
এ ব্যাপারে মামলার আসামী এবং বিবাদী মামুন মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, আমাদের আগে জানা ছিলনা এ জায়গার মালিক আমরা। কিছুদিন আগে জানতে পারি তাদের দখলে থাকা ৩ শতক জায়গা আমাদের তাই পরিবারেরর লোকজন নিয়ে দেয়াল ভেংগে ও গাছ কেটে জায়গা দখলে নিয়েছি। ঘটনার সময় সরকারী কোন কর্মকর্তা বা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন না বলে মামুন জানায়। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মামুনের বাবা সানু মিয়া, গ্রামের প্রবীন মুরব্বী হাজী মো.মন মিয়া, মো.শাহআলম মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ইঞ্জিনিয়ার মনির হোসেনের বড় ভাই মো.জাকির হোসেন জানান, আমাদের ৩ দাগে মোট ৫৬ শতক জায়গার মধ্যে ৪১ শতক জায়গা রেকর্ড করা হয়। অবশিষ্ট ১৫ শতক জায়গা পাওয়ার ব্যাপারে স্থানীয় তহশীল অফিসে গেলে উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো.বশির আহাম্মদ বলেন উক্ত জায়গা রেকর্ডে নেই, তবে মিসকেইস করে উক্ত জায়গা উদ্ধারের পরামর্শ দেন।