টিআইএন॥ আপনারা আমার নিরাপত্তার জন্য কাজ করেন। আপনারা আমাকে নিরাপত্তা দিন ভালো কথা, কিন্তু খেয়াল রাখবেন যেন আমি জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে না যাই। কারণ পরিবার হারানোর পরে ওরাই আমার কাছের মানুষ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । গত শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় বারবার আমাদের ওপর আঘাত এসেছে কিন্তু আমাদের দমাতে পারেনি। আমার ওপর যখন গ্রেনেড হামলা হয়েছে। তখন আমার চারপাশে থাকা মানুষ মানবদেয়াল তৈরি করে আমাকে বাঁচিয়েছে। যখন বিরোধীদলে ছিলাম তখন তো নিরাপত্তা তেমন ছিল না, সাধারণ জনগণই আমাকে রক্ষা করেছে।
তিনি বলেন, জনগণ আমাদের ২০০৯ সালে আবার ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আনে। বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এ প্রশংসা যেন আমরা ধরে রাখতে পারি। জনগণের দেয়া ওয়াদা পূরণে কাজ করছি। তাই প্রতি বাজেটের আগে দেখি নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী আমরা কাজ হচ্ছে কিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোটের মালিক জনগণ, ভোট দেবে তাদের ইচ্ছামতো। যাকে তারা চায় তাকেই তারা পাবে। কিন্তু আমার একটাই লক্ষ্য- দেশের উন্নয়ন করে যাওয়া। যেহেতু আমাদের উন্নয়ন একটি ধারায় যেতে পেরেছে তাই আমরা এত বড় বাজেট দিতে পেরেছি।
তিনি বলেন, সবার বেতন বৃদ্ধি করেছি। পৃথিবীর ইতিহাসে ১২২ ভাগ বেতন বৃদ্ধির ঘটনা কোনো দেশে হয়নি। প্রত্যেকের বেতন বৃদ্ধি করে আমরা উন্নয়ন বাজেটকে আরো বেশি করে দিয়েছি। যার ফলে আজকে সব শ্রেণি পেশার মানুষ তার সুফল পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বিরুদ্ধে, আমার পরিবারের বিরুদ্ধে, মন্ত্রিপরিষদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছিল। আমি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, এখানে জনগণের সেবা করার জন্য এসেছি। দুর্নীতি করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আসিনি। দুর্নীতি করে ভাগ্য গড়তে চাইলে অনেক আগেই করতে পারতাম। আমি রাষ্ট্রপতির মেয়ে ছিলাম, প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে ছিলাম। দুর্নীতি করতে চাইলে তখনই করতে পারতাম।
তিনি আরো বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে একটি ষড়যন্ত্র ছিল। তারা তা প্রমাণ করতে পারেনি। কানাডার আদালত রায়ে বলেছেন এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা অভিযোগ। আমি বাংলাদেশের মানুষের মাথা নিচু করিনি। এটুকু অন্তত বলতে পারি, বরং মাথা উঁচু হয়েছে।