তাজুল ইসলাম হানিফ : অভিনন্দন, অভিবাদন ও অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবার এইচ এস সিতে যারা ভালো ফল করেছ, আর বাকিদের আগাম অভিনন্দন। চেষ্টা করলে জীবনের কোনো না কোনো ধাপে তুমি ছয় মারবেই। আর যারা অকৃতকার্য হয়েছ তোমাদেরও আগাম অভিনন্দন। তোমরাও সামনে পাশ করবে। পথ আছে অনেক। দৃষ্টি যদি সামনে থাকে, এগিয়ে যাওয়ার পথ তুমি পাবেই। আমরা কেউ জানি না, আমাদের কোন আলো কখন জ্বলে উঠবে!……………………………
আসা যাক মূল প্রসঙ্গে: এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ মোট ১০ শিক্ষা বোর্ডে এ বছর এইচএসসিতে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। গত বছর এই ১০ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ছিলো ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর এছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭ হাজার ৭২৬ জন। গত বছর জিপিএ-৫ ছিল ৫৮ হাজার ২৭৬জন।
অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছর মোট গড় পাসের হার এবং জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে। গত বছরের তুলনায় এবছর পাসের হার কমেছে ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ বিন্দু। এর মধ্যে এবছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩ হাজার ২৪২ জন।
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসিতে পাসের হার ৭১ দশমিক ৩১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচ হাজার ২৯৪ জন। এই বোর্ডে গত বছর পাসের হার ছিল ৭৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। জিপিএ-৫ ছিল ছয় হাজার ৭৩ জন।
দিনাজপুর বোর্ডে এ বছর পাসের হার ৬৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ দুই হাজার ৯৮৭ জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
যশোর বোর্ডে এ বছর পাসের হার ৭৭ দশমিক ০২ শতাংশ। জিপিএ-৫ ১ হাজার ৮১৫জন। গত বছর ছিল ৮৩ দশমিক ৪২ শতাংশ।
বরিশাল বোর্ডে এ বছর পাসের হার ৭০ দশমিক ২৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ ৮শ ১৫ জন। গত বছর পাসের হার ৭০ দশমিক ১৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ ৭শ ৮৭ জন।
সিলেট বোর্ডে এ বছর পাসের হার ৭২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭শ। গত বছর পাসের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ ৩শ ৩০ জন।
মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ০২, জিপিএ-৫ এক হাজার ৮১৫ জন। গত বছর ছিল ৮৮ দশমিক ১৯ শতাংশ।
কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ দুই হাজার ৬৬৯জন। গত বছর ছিল ৮৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ ছয় হাজার ৫৮৬জন।
বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকালে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। গত ২ এপ্রিল থেকে ১৫ মে এইচএসসির তত্ত্বীয় এবং ১৬ থেকে ২৫ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় ভালো করেছে। মেয়েদের গড় পাসের হার ৭০.৪৩ শতাংশ। আর ছেলেদের পাসের হার ৬৮.৬১ শতাংশ। পরীক্ষা শেষের ৫৯ দিনের মাথায় এবার ফল প্রকাশ হলো।
জেনে নিন ফল পুনঃনিরীক্ষার নিয়ম :- তবে কোনো শিক্ষার্থী আশানুরূপ ফল আসেনি মনে করলে খাতা পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী রেজাল্ট চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। ২৪ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে। তবে শুধুমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক সংযোগ থেকে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে।
ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে RSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
ফিরতি এসএমএসে ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর-PIN) দেয়া হবে।
আবেদনে সম্মত থাকলে RSC লিখে স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
প্রতিটি বিষয় ও প্রতি পত্রের জন্য দেড়শ’ টাকা হারে চার্জ কাটা হবে।
যে সব বিষয়ের দুটি পত্র (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) রয়েছে যে সকল বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করলে দুটি পত্রের জন্য মোট ৩০০ টাকা ফি কাটা হবে।
একই এসএমএসে একাধিক বিষয়ের আবেদন করা যাবে, এক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে ‘কমা’ দিয়ে লিখতে হবে।