শেখ কামাল॥ রাজধানীর ৩৪ খাল উদ্ধার এককভাবে মাঠে নামছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। প্রাথমিকভাবে প্রকৃত সীমানা চিহ্নিতকরণ, দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও নাব্য নিশ্চিতে জোর দিচ্ছেন দুই মেয়র। ঢাকা ওয়াসা দিচ্ছে খাল দখলমুক্ত রাখতে পাড় বাঁধাই ও ওয়াকওয়ে নির্মাণের পরামর্শ। আর নগর-পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, এ কাজে সাফল্য পেতে বড় পরিসরে যুক্ত করতে হবে কাউন্সিলরদের।
মিরপুরের বাউনিয়া খাল। এই এলাকার পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম, তবে সাইনবোর্ডের ভিড়ে এর দেখা পাওয়ায় মুশকিল। বদলে গেছে গতিপথ। স্থবির পানিপ্রবাহ। একই অবস্থা প্যারিস খালেরও। বহুতল ভবনের দেয়ালে চেপে ধরে আছে খালটিকে। সাংবাদিক খাল ভরাট হয়ে গেছে বর্জ্যে। পাড় দখল করে উঠেছে কারখানা।
আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয় সভায় জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ব নেয়ার প্রস্তাব দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। তাতে সাড়া দিয়ে খাল উদ্ধারে কাজ শুরু করছেন উত্তর ঢাকার মেয়র। তবে কিছু শর্তও রয়েছে তার। তবে এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন দক্ষিণ ঢাকার মেয়র সাঈদ খোকন।
প্রায় একযুগ ধরে রাজধানীর ২৬টি খালের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ঢাকা ওয়াসার পরামর্শ, দখলমুক্ত রাখতে সীমানা নির্ধারণের পর বাঁধাই করতে হবে পাড়। নির্মাণ করতে হবে ওয়ার্কওয়ে। তবে, ওয়াসার সঙ্গে একমত নন নগর-পরিকল্পনাবিদেরা। নিয়মিত তদারকির কোনো বিকল্প দেখছেন না তারা।
ঢাকা উত্তরে ২৩ এবং দক্ষিণ সিটির আওতায় আছে ১১টি। উদ্ধারের পর তদারকি হলে রাজধানীর জলাবদ্ধতা ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার বড় উন্নতি হবে বলেও মনে করছেন তারা।