সচিবালয়সহ সব সরকারি দফতরের নিরাপত্তা জোরদার করছে সরকার

প্রশান্তি ডেক্স ॥ প্রশাসনের শীর্ষ দফতর বাংলাদেশ সচিবালয়সহ বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের (ইউএনও অফিস) নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও ইউএনও বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি সব কার্যালয়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য বরাদ্দের প্রয়োজন হলে তা-ও জানাতে হবে। দফতরের সবস্থানে সিসিটিভি স্থাপন করতে হবে। রাতের বেলায় দফতরের সর্বত্র পাহারা স্থাপন করতে হবে। ভবনের দরজা-জানালা মেরামত বা পুনঃস্থাপনের দরকার হলে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।’

সবশেষে সরকারি দফতরগুলোর নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে-তা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের শীর্ষ প্রশাসনিক দফতর সচিবালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে আরও কড়াকড়ি আরোপ করে নিরাপত্তা জোরদার করাসহ কার্ড রিডার স্ক্যানিং ব্যবহার ও অত্যাধুনিক পদ্ধতি সংযুক্ত করে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের ছুটির দিন গভীর রাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার পর বাংলাদেশ সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পরিবর্তনের পর ৮ আগস্ট ড. ইউনূস সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মহল বৈষম্যের অভিযোগ সংবলিত নানা দাবি নিয়ে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে সংশ্লিষ্টরা। সেই সময় সারা দিন চলার পরে রাতেও সচিবালয়ের সামনে চলে নানা মহলের বিক্ষোভ মিছিল। নিজেদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সারা দিন বিক্ষোভের পর সন্ধ্যায় সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন আনসার সদস্যরাও। এ নিয়ে মারামারি, ইটপাটকেল ছোড়াসহ গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে।

এছাড়া, গত ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট এইচএসসি ও সমমানের বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল করে অটোপাসের দাবিতে সচিবালয়ে বাইরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে সচিবালয়ের মুক্তাঙ্গনের সামনের গেট ভেঙে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েছিল শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ওই আন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের এইচএসসির বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল করে অটোপাসের দাবি মেনে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অনুমতি ছাড়া সচিবালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা বলয় ভেঙে শিক্ষার্থীদের এভাবে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়ার ঘটনা কেউই ভালো চোখে দেখেনি।

এর কয়েক দিন পরে ২০২৪ সালের ২৫ আগস্ট রবিবার সারা দিন বিক্ষোভের পরে রাতেও সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন হাজার-হাজার আনসার সদস্য। এতে সচিবালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ওইদিন সরেজমিন দেখা গেছে, হাজার হাজার আনসার সদস্য সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে দুপুর ১২টা থেকে তারা সচিবালয় অবরুদ্ধ করে রাখেন। এতে সব গেট বন্ধ হয়ে যায়। বিকাল ৫টায় অফিস ছুটি হলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বের হতে পারছিলেন না। রাতেও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় অবরুদ্ধ অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়েছিলেন।

এরও কয়েক দিন পরে একই বছরের ২৪ অক্টোবর এইচএসসির ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে বিক্ষোভ করেছিল শিক্ষার্থীরা। সে সময় বিক্ষুব্ধ ৫৪ শিক্ষার্থীকে আটক করেছিল পুলিশ। পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে ২৬ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়, আর মুচলেকা নিয়ে বাকি ২৮ জনকে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সচিবালয়সহ জেলা উপজেলায় সরকারি দফতরগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের সিদ্ধান্ত নেয়।

জানা গেছে, সচিবালয়ের নিরাপত্তা দেখভাল ও অপরাধী ধরতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) যুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা উল্লেখ করে চলতি মার্চ মাসের শুরুতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। সচিবালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে আরও কড়াকড়ি আরোপ করে নিরাপত্তা জোরদার করাসহ কার্ড রিডার স্ক্যানিং ব্যবহার ও অত্যাধুনিক পদ্ধতি সংযুক্ত করে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নীতিমালায় বলা হয়েছে, দর্শনার্থীরা যে মন্ত্রণালয় ও বিভাগে প্রবেশের অনুমতি নেবেন শুধু সেখানেই যেতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সচিবালয় ত্যাগ করবেন। প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান ও বহির্গমন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত সচিবালয়ে প্রবেশ নীতিমালায় এ কথা বলা হয়েছে।

নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, কার্ডধারী কর্মকর্তা-কর্মচারী সচিবালয়ে প্রবেশের আগে দেহ আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে এবং তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও বস্তু ব্যাগেজ স্ক্যানারে মাধ্যমে স্ক্যান করবেন, কার্ডধারীরা গেটে প্রবেশের সময় কেবল কার্ড রিডার স্ক্যানিং ব্যবহার করে সুনির্দিষ্ট গেটের মাধ্যমে প্রবেশ করবেন। কার্ডধারীরা গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করার আগে ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে কার্ড স্ক্যান করে প্রবেশ করবেন। সংশ্লিষ্টরা প্রাপ্ত কিউআর কোডটি সচিবালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে গেটে স্থাপিত কিউআর কোড রিডারের মাধ্যমে স্ক্যান করলে মনিটরে প্রদর্শিত ছবি ও তথ্যাদি মিল সাপেক্ষে প্রবেশের অনুমতি পাবেন। কিউআর কোডধারীদেরও গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করার আগে ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে বলেও নীতিমালায় বলা হয়েছে।  

এছাড়া নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ যেকোনও প্রকারের অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র, ব্যক্তিগত লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্যসহ কোনও ব্যক্তি সচিবালয়ের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবেন না। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রাপ্তদের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রবেশ গেটে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপনের পর নিরাপত্তা হেফাজতে রাখতে পারবেন। তবে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত জনবলের জন্য ইস্যু করা সরকারি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে বলেও নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ সচিবালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সচিবালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়োজিত করা হয়েছে। সচিবালয়ের ভেতরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে সচিবালয়ে দায়িত্বরত পুলিশের একজন সদস্য বলেন, অন্যান্য দিনের মতো সকাল থেকেই আমরা তৎপর থাকি। রাতেও তৎপরতা অব্যাহত রাখা হচ্ছে। আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল আরও বেশি তৎপর রয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা দেখভাল ও অপরাধী ধরতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা)-যুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এসব ক্যামেরায় থাকবে স্বয়ংক্রিয় অ্যালার্ম সিস্টেম, চেহারা চিহ্নিত করা, গাড়ির নম্বর চিহ্নিত করার প্রযুক্তিসহ ১০ ধরনের সুবিধা। দিনের পাশাপাশি রাতে কোনও অপরাধ ঘটলে সহজেই অপরাধীদের চিহ্নিত করা যাবে। এছাড়া যেকোনও ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলে তাৎক্ষণিক শব্দ আসবে মনিটরিং রুমে। আমেরিকা ও জাপান থেকে ক্যামেরা কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৬২৪ সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কয়েক সপ্তাহজুড়ে কর্মদিবস এলেই কোনো না কোনো দাবি নিয়ে সচিবালয়ের ভেতরে-বাইরে জমায়েত করে বিক্ষোভ হতে দেখা গেছে। এ কারণে সচিবালয়ের চারদিকের সীমানা প্রাচীর বেষ্টনী উঁচু করার পাশাপাশি বসানো হচ্ছে নতুন করে কাঁটাতারের বেড়া। গত ২৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার পর বাংলাদেশ সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা দেখভাল ও অপরাধী ধরতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সযুক্ত (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা উল্লেখ করে চলতি মার্চ মাসের শুরুতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়, সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পাঁচটি গেটে ও সীমানা প্রাচীর-সংলগ্ন সব ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে ৭৪টি ক্যামেরা দ্রুত কেনা প্রয়োজন। এর মধ্যে সচিবালয়ের গেট ও বিভিন্ন ভবনের প্রবেশমুখে ৪৩ ফেস ডিটেকশন ক্যামেরা, সীমানা পর্যবেক্ষণের জন্য ২০টি বুলেট ক্যামেরা এবং বিভিন্ন ভবন পর্যবেক্ষণের জন্য চারটি পিটিজেড ক্যামেরা এবং সাতটি ডম ফেস রিকগনাইজেশন ক্যামেরা কেনা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ২০২১ সালে কয়েক দফায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার নিরাপত্তা সরঞ্জাম কেনা হয়েছিল। লাগানো হয় ৭৪টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সিসি ক্যামেরা। পাঁচটি গেটের ক্যামেরা ছিল প্রযুক্তির দিক থেকে উন্নত, যা কেনা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীন থেকে। এসব ক্যামেরায় নাইট ও ডে ভিশন সুবিধাও যুক্ত ছিল। ফলে রাতের অন্ধকারেও মানুষ চেনা যায়। এছাড়া নতুন করে চারটি ব্যাগেজ স্ক্যানার বসানো হয়েছিল। যদিও সেগুলো অকেজো হয়ে গেছে। এখন নতুন করে আবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব জানিয়েছেন, সচিবালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। সচিবালয়ের চারপাশের সীমানা প্রাচীরগুলো সংস্কার করা হয়েছে। সীমানা প্রাচীরের ওপরে কয়েক স্তরের কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করা হয়েছে। কয়েক ফুট দূরে দূরে মনিটরিং টাওয়ারগুলোও সংস্কার করে সেখানে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ডিউটি দেওয়া হয়েছে।  

তিনি জানান, নিরাপত্তা সরঞ্জামের মধ্যে ‘ইনফ্রারেড ক্যামেরা’ বসানো হচ্ছে, যা মানুষের তাপমাত্রা থেকে উপস্থিতি ধরতে পারে। আবার এই ক্যামেরার প্রযুক্তিগত সুবিধায় অন্ধকারের মধ্যেও মানুষকে চেনা যায়। একটা বিড়াল গেলেও তা ক্যামেরায় ধরা পড়বে। গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে প্রায়ই এ ক্যামেরা ব্যবহার হচ্ছে। এই ক্যামেরা ইমেজ ও ভিডিও নিতে পারে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিএমপির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুধু সচিবালয় নয়, দেশের সব জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নাজুক পরিস্থিতি কেউই মেনে নেবেন না। সচিবালয় নয়, প্রতিটি সরকারি অফিসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সচিবালয়ের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, সচিবালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সামনে আরও কার্যক্রম চলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.