লাকসাম, কুমিল্লা প্রতিনিধি॥ কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় আতাকরা হাই স্কুল এন্ড কলেজে সন্ত্রাসী হামলা ও কর্মচারীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার (৩০ জুলাই) বেলা এগারটার দিকে কলেজ চলাকালীন সময়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলার প্রতিবাদে সোমবার কলেজ ক্যাম্পাসে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী রামারবাগের আনোয়ার ও তারেকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ক্যাম্পাসে ঢুকে হামলা চালায় । এ সময় কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি খোরশেদ আলম চৌধুরীকে অফিস থেকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক লাঠিপেটা করে। পরে তাকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়। বর্তমানে তিনি লাকসাম সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। খোরশেদ আলম চৌধুরী উত্তরদা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি।
এছাড়া ওই হামলাকারিরা গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে পুনরায় কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সজলকে ক্লাস থেকে বের করে ব্যাপক মারধর করে। চিকিৎসার জন্য সজলকে লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
এ হামলার প্রতিবাদে সোমবার কলেজ ক্যাম্পাসে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে আতাকরা হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ জ্যোৎস্না বেগমসহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারি ও সকল স্তরের ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। হামলার বিচার চেয়ে মানববন্ধনে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানানো হয়। এছাড়া দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচারের জন্য লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রসাশনের প্রতি জোর দাবী জানানো হয় । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও জানানো হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ফারুক এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হামলাকারীরা স্থানীয় আ’লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠনের লোক। তারা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। স্থানীয় এমপি তাদের আশ্রয়দাতা। এর আগে সন্ত্রাসীরা যুবলীগের সভাপতির বাড়িঘরও ভাংচুর করে।
প্রসঙ্গত: যে প্রথম দফায় মারার পর যখন হাসপাতাল থেকে মোটামোটি সুস্থ্য হয়ে বাসায় ফিরছিলেন তখন আবারো আক্রমন। এই আক্রমন জীবন নাশের আক্রমন এবং দা দিয়ে কুপিয়ে আবারো হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ কেমন অরাজকতা। সভ্য দেশে শাস্তিপ্রীয় সরকারের আমলে যেখানে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স সেখানে কিভাবে একের পর এক এমন লোমহর্ষক ঘটনার উদ্ভব ঘটে তা খতিয়ে দেখার বিষয়। সেখানে কি কোন প্রসাশন নামের শক্তিশালী কাঠামো নেই? নাকি এই সন্ত্রাসীরাই প্রসাশন চালায়? সরকারের আশু দৃষ্টি দিয়ে ঐ অঞ্চলের অরাজকতা এবং সরকার এর ভাবমুর্তী বিনষ্টের সকল ষড়যন্ত্র এখনই কঠোর হস্তে দমন করা উচিত।