তাজুল ইসলাম নয়ন॥ তোমাদেরকে শ্রদ্ধভরে অবনত মস্তকে স্মরণ করছি এবং আজিবন করবো। এই হলো আমাদের বাঙ্গালী জাতির প্রতিজ্ঞা। আমরা এবং আমাদের প্রজন্ম কোনদিন তোমাদেরকে ভূলব না এবং ভোলার প্রেক্ষাপট তৈরীকারীদের কোন ষড়যন্ত্রই এই আত্মত্যাগ ভোলাতে পারে না। তাদের শত চেষ্টার মধ্যেও তোমরা জীবিত এবং অম্লাম হয়ে আছো ১৬ কোটি বাঙ্গালীর হৃদয়ের মণিকোঠায়।
যারা তোমাদেরকে হত্যা করেছে আমরা কিন্তু তাদেরকে ছাড়ি নাই এবং ভুলিনাই তাদের সেই নৃশংশ হত্যাযঞ্জের কথা। দেশ এবং দেশের মানুষ তাদের মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা লালিত স্বপ্নের স্বার্থক ও বাস্তব রূপ দেখেছে হত্যার বিচারের রায় কার্যকরের মাধ্যমে। এখনও যারা বিদেশের মাটিতে লুকিয়ে আছে তাদেরকে দেশে এনে বিচারের রায় কার্যকরের সকল ব্যবস্থা এবং আয়োজনও সম্পন্ন হওয়ার পক্রিয়ার পথে। আমরা এই পক্রিয়া শেষে তোমাদের জীবন উৎসর্গ এবং আদর্শকে আমাদের জীবনের পাথেয় করে এগিয়ে যাব এবং রেখ যাব আগামীর জন্য একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত।
তোমাদেরকে অনুসরণ করেই আজ জাতী মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ৭ কোটি থেকে ১৬কোটিতে পরিণত হয়েছে। মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর ঘটেছে। আগামী উচ্চ ও উন্নত দেশের কাতারে রেখে যেতে চাই এই স্বাধীন সোনার বাংলাকে। এই সোনার বাংলার প্রতিটি ইঞ্চি মাটি ও বালু কণিকায় তোমরা আজ অনুপ্রেরণা হিসেব প্রজ্জলিত রয়েছ। তোমাদের অস্তিত্বই আজ আমাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তোমাদের সেই অভিষ্ট লক্ষে।
জয় হউক আমাদের আগামীর পথা চলায়। জয় হউক তোমাদের দেখানো পথের এবং আশির্বাদের। জয় হউক বর্তমান এবং আগামীর সোনালী অতীতের। এই জয় এবং উন্নয়ন গতি অব্যাহত থাকুক এবং চলমান পক্রিয়ায় তোমারা মিশে থাকো এই বাংলার পথে, প্রান্তরে, মাঠে, ঘাটে, প্রতিটি বাঙ্গালীর মণিকোঠায়। এই আগষ্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করে গর্জে উঠুক লড়াকু ও কঠোর পরিশ্রমী জাতি বাঙ্গালী। আমরা তোমাদের ভুলব না এবং তোমাদেরকে নিয়েই এগিয়ে যাবো আগামীর উন্নত সম্বৃদ্ধ সোনালী এবং গর্বীত বাংলাদেশের তরে।