মানুষের স্বভাবের গতিপ্রকৃতি বোঝা বরই দায়। কোনভাবেই এর গতিপ্রকৃতি বোঝা যায় না। তবে স্বভাবের খেলাগুলো দৃশ্যমান হয় এবং এর থেকে বোঝাযায় কোনদিক থেকে কোনদিকে স্বভাব প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু স্বভাবের অন্তনিহীত ভাবগাম্বিয্য এবং উদ্দেশ্য বোঝা দায়। স্বভাব দ্বারা তাড়িত হয়েই বিপদগ্রস্ত হয় এবং অন্যকে বিপদগ্রস্ত করে। তাই এই স্বভাব সম্পর্কে ধর্মের একটি প্রচলিত বক্তব্য এইরকম যে, অভাবে স্বভাব নষ্ট কিন্তু বিপরীত দিকে থেকে খৃষ্টধর্মে এও বলা আছে যে, মানুষের স্বভাবের কাছে অভাব পরাজিত হয়। তাহলে এখন খোজতে হবে খ্রিষ্ট্রিয় স্বভাব কেমন? আমাদের যে স্বভাব তা কিন্তু টালমাটাল। কোন স্থিরতার মধ্যে এমনকি ন্যায়নীতির মধ্যে আবদ্ধ থাকে না। তাই এই স্বভাবকে বিশ্বাস এবং আস্থায় নেয়া সহজ হয়নি এবং হবেওনা।
২৪ এর ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়া স্বভাবের জরুরী। কিন্তু শিক্ষাতো নয়ই বরং স্বাভাবের চলমান খেলার খোলস পাল্টিয়ে এখন অতিতকেও হার মানিয়ে যাচ্ছে। এযেন এক মগেড় মুল্লুক। এখানে কেউ কোনকিছু বুঝেনি এবং বুঝবেও না কোনদিন। তবে একটি কথা সঠিক যে বাঙ্গালী হুজুগে পাগল। বাছ বিছার না করেই চিলের পিছনে ছুটা বাঙ্গালী টের পায় যখন অবশিষ্ট বলে কিছু আর থাকে না। গ্রামীন প্রবাদ হলো চিলে কান নিয়েছে তাই চিলের পিছনে ছুটছে কিন্তু কানে হাত দিয়ে আর দেখা হলো না কিন্তু যখন দেখা হলো তখন সর্বনাশ।
পুলিশ ২৪’র জুলাই আগষ্টে মৃত্যুর মুখোমুখি যা এখনও সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারেনি। কিন্তু উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ এবং সরকার ও জনগণ স্বতস্ফূর্ত সহযোগীতা করে যাচ্ছে যাতে হারানো মনোবল এবং মান ইজ্জ্বত ফিরে পায় আর জাতির ও পরিবারের সেবায় মনোনিবেশ করতে পারে। কিন্তু সেই পুলিশই কিন্তু আগের চেয়ে আরো খারাপিতে মনোনিবেশ করেছে। তবে সবাই নয় বরং কতিপয়। যারা আগে বিগত পরাজিত সরকারের সময় বিভিন্ন পরিচয়ে ঘুষ, দুর্ণীতি এবং গ্রেফতার ও মামলা বাণিজ্য করতো তারা আবার মরিয়া হয়ে উঠেছে। নতুন চক্র তৈরী করে সাধারণকে হয়রানি করে যাচ্ছে। তবে এই পুলিশ শুধরানোর নয়। এহেন অবস্থা হলে আরো একটি ঝড় আসবে এবং নি:শেষ হয়ে যাবে। তাই সাবধান হউন এবং প্রত্যেক এসআইকে সাবধান করুন যাতে জনতার উপর কোন জুলুম না করে। যদি জনতার উপর জুলুম অব্যাহত রাখে তাহলে আর লোকানোর কোন জায়গা থাকবে না বরং মৃত্যু এবং জাহান্নাম সুনিশ্চিত অবধারিত।
শুধুইকি পুলিশ না অন্যান্য সরকারী অফিসগুলোতেও সেই একই পালা দোল খাচ্ছে। সাধারন আম জনতা এর স্বীকারে পরিণত হচ্ছে। তবে এই আম জনতাই কিন্তু বিগড়ে গিয়ে সর্বনাশ বা বারোটা বাজাতে পারে এবং পেরেছে এই কথাটি মনে রাখতে হবে। আম জনতার সেবার প্রয়োজনেই কিন্তু আপনারা স্ব স্ব পদে অধিষ্ঠিত। তাই আম জনতাকে অবহেলা আর নয় বরং সেবায় মনোনিবেশ করুন।
বর্তমান সরকার কিন্তু কথা ও কাজে মিল রাখতে পারছে না বরং দিন দিন নিম্নগথির প্রবাহে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই সরকারকে বলব কেন কথা দিয়ে কথা রাখতে পারছেন না তা খতিয়ে দেখুন এবং সেই জায়গাতে কাজ করুন। জনগণের প্রত্যশার সিকিভাগ পূরণ করতে মরিয়া হয়ে উঠুন। পুর্বের সরকারগুলোর ন্যায় আপনারাও ক্ষমতা ও অর্থ এই দুয়ের ঘুর্ণীপাকে ঘূর্ণায়মান হয়ে চলছেন। কিন্তু এর থেকে বের হওয়া জরুরী। জনগণ এখন অতিষ্ট হওয়ার পথে তাই সময় থাকতে সাবধান হওন এবং সঠিক গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হউন। স্বভাব ও কর্মকান্ডকে সঠিক দিকে প্রবাহিত করুন।
রাজনৈতিক দলগুলো এখন ক্ষমতার মোহে মরিয়া এবং ঘূর্ণায়মান অর্থনীতি ও ক্ষমতার মহড়ায় উম্মাদ। এই অবস্থায় বেশিক্ষণ টিকে থাকা যায় না। বরং নিজেদেরকে আরো সংযমি এবং সুশৃঙ্খল হয়ে জাতির বৃহত্তর কল্যাণের দিকে গুরুত্ব দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। জাতির কল্যাণের সঙ্গে নিজেদের কল্যাণও নিহিত রয়েছে। তাই জাতির কল্যাণকে প্রাধান্য দিয়ে অগ্রসর হওন। দলকে সুসংগঠিত করুন জাতির বৃহত্তর কল্যাণের তরে। লোভে পাপ এবং পাপে মৃত্যু এই বক্তব্যের সঙ্গে যুক্ত হওয়া থেকে বিরত থাকুন। নতুবা নিজেদের পতন নিজেরাই ডেকে আনবেন। এ পর্যন্ত যারাই নিজেদের স্বার্থে এবং নিজেদের প্রয়োজনে ক্ষমতা ও অর্থকে ব্যবহার করেছে এমনকি জনগণকে বোকা বানিয়ে জনগণের বৃহত্তর কল্যাণের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে তাদেরই বিনাশ সাধিত হয়েছে। তবে জনগণের প্রয়োজনে জনগণকে পাশ কাটিয়ে গিয়ে নিজে নিজে কাজ করা ব্যক্তিরাও জনপ্রত্যাখ্যান হয়ে বিদেশ বিভূইয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাই সাবধান হয়ে বৃহত্তর জাতির কল্যাণের তরে অগ্রসর হওয়া জরুরী। এখনই সময় কাজে নেমে পড়ার এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করে সামনে অগ্রসর হওয়ার।
জনআকাঙ্খার বিরুদ্ধে গিয়ে নিজ আকাঙ্খা পুরন করা বর্তমানের সঙ্গে যায় না বরং নিজআকাঙ্খায় মত্ত থেকে ক্ষমতা বা লাইনচুত্য হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। অতীতের ইতিহাস কাজে লাগিয়ে ২৪’র ইতিহাসকে স্বরণে এনে বিচক্ষণতার সহিত অগ্রসর হউন। নতুবা নিজেরা বিপদে পড়ে হাতড়াবেন। সামনে আরো কঠিন সময় আসছে তাই সাবধান হউন। ঐ কঠিন সময়ে জাতি ঐক্যবদ্ধ থেকে মোকাবিলা করে পৃথিবীর ইতিহাসে সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে নিজেদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার। আমাদের সকলের স্বভাবের পরিবর্তন দরকার। কারণ পুরোনো স্বভাবে গুণে দরে এবং পোকায় নষ্ট করে ফেলেছে। তাই নতুন ফ্রেশ স্বভাবের প্রয়োজন এবং এই ইতিবাচক স্বচ্ছ স্বভাব দ্বারা তাড়িত হয়ে দেশ ও দশের এবং নিজের কল্যাণের তরে এগিয়ে যাই এই কামনা এবং বিশ্বাস ও আশা রেখে সামনে এগুচ্ছি কোন নতুনের সদ্ধানে।