বর্তমানে রাজনীতি ও অরাজনীতি বা রাজনীতিহিন স্বচ্ছ মানুষ এর সংখ্যা তুলনায় কম। তবে যারা রাজনীতির বাইরে অবস্থান করছেন তাদের অবস্থাও বেশী ভাল যে তা বলা যাবে না কারণ রাজনীতিবিদরাই তাদের জীবন বিষিয়ে তুলেছে এবং তুলেছিল। তবে রাজনীতিবিদদের জীবনে সুখ এবং দু:খ এই দুইই জড়িয়ে আছে। আর তাদের সিজনাল সুখের চেয়ে সিজনাল দু:খ বড়ই নির্মম। একেক সময় একেক দু:খ তাদের গ্রাস করে। তবে সৃষ্টিকর্তা এই রাজনীতিবিদের জীবনকে অভিষপ্ত করেছেন কারণ তারা রাজনীতি করেন নিজেদের জন্য। প্রকৃতপক্ষে রাজনীতি হওয়ার কথা ছিল সকলের জন্য এবং রাজনীতির নীতিই হলো সার্বজনীন কল্যাণ সাধন করা ও সাম্যের ভিত্তিতে বৈষম্যহীনভাবে রাজনীতির নীতিকে জয়ী করা। তবে বর্তমানে এই রাজনীতির ইতিবাচক নীতিটাই যেন অনুপস্থিত।
অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান আর অতীতের সম্মিলনের আলোকে ভবিষ্যতের রাজনীতি বরই অসহিষ্ণু এবং ব্যভিচারীতাই পূর্ণ। এইসকল দিক থেকে বলা যায় রাজনীতিহীন বা রাজনীতির বাইরের মানুষের জীবনটাই সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন। সিজনাল দু:খ এবং দুর্দশা তাদের জীবনকে আচ্ছন্ন করতে পারেনা বা কখনো কখনো করলেও তা হয় ক্ষণস্থায়ী। তবে সাধারণ ও রাজনীতির বাইরের মানুষগুলো এখনও সবচেয়ে মহান ও শ্রেষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। আর ভবিষ্যতেও থাকার নিশ্চয়তা রয়েছে।
রাজনীতিবিদরাই যে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে তা কিন্তু নয়। বরং বর্তমানের চাহিদা হলো রাজনীতির বাইরের মানুষগুলোই রাষ্ট্র পরিচালনা করা। কারণ রাজনীতিবিদদের দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনার সুফল এবং কুফল উভয়ই এখন প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ। তাই আপামর জনসাধারণ আর রাজনীতিবিদ দেখতে চাই না। বরং তারা চায় রাজনীতির বাইরের মানুষ দ্বারা রাজনীতিবিদ বিহীন সমাজ ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্র পরিচালনার কাঠামো গড়ে তোলতে। যথেষ্ট হয়েছে আর রাজনীতি এবং অপরাজনীতি ও কূট রাজনীতির প্রয়োজন নেই। মীরজাফরের আভির্ভাব বার বার হউক ইহা কেউই আর কামনা করেন না। কারণ রাজনীতি থাকলে মিরজাফরও থাকবে এবং এর আর্ভিভাবও হবেই হবে। তাই রাজনীতি বিবর্জীত সমাজ ব্যবস্থায় আগামীর করনীয়তে প্রাধান্য পাক।
আমি কোন রাজনীতিবীদদের দোষারূপ করতে চাই না বরং ঐ অপরাজনীতির প্রভাব ও কুফলটাকে দুষারূপে দোষি সার্বস্ত্য করতে চাই। আমাদের সমাজ ও পরিবারে এমনকি রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় পরিবর্তন অভিসম্ভাবী। বর্তমানের বৈষম্যবিরোধী সরকার ঐ পরিবর্তনগুলো আনয়ন করে দ্রুতলয়ে প্রস্থান গমন করে নতুন ইতিহাস ও নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এটাই বিশ্বাস। তবে পরিবর্তনের পরবর্তীত সরকার কোন ক্রমেই যেন আর পূর্বাবস্থায় ফিরে যেতে না পরে সেই ব্যবস্থায় নিশ্চয়তাটুকু শতভাগ সুনিশ্চিত করাই হবে এই বৈষর্ম্যবিরোধী অন্তবর্তী সরকারের মূল কাজ।
দেশটাকে বাঁচান এবং দেশের জনগণকে বাঁচান। বর্তমানের খা খা কার করা মরুময় অবস্থান’র আবস্থার উন্নয়ন সাধন করুন এবং সার্বজনীন কল্যাণের তরে সার্বজনীন নীতির আলোকে কর্মকান্ড পরিচালনা করুন। নেতিবাচকতা এবং অনৈতিকতাকে পরিহারে স্থায়ী দৃষ্টান্ত স্থাপনে ভুমিকা রাখুন। কল্যাণ সুনিশ্চিতকরণে এগিয়ে আসুন এবং দেশের আপামর জনসাধারণকে অংশগ্রণের শতভাগ সুযোগ উন্মুক্ত করে সকল কাজ সাধন করুন। নতুবা কোন পদক্ষেপই সফলতায় পর্যবসীত হবে না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় বিগত পলাতক পরাজিত সরকার। তারা নিজেরা নিজেরা এবং নিজেদের লোকবল দিয়ে সর্বসাধারণকে অগ্রাহ্য করে দেশের এমনকি নিজেদের বারোটা বাজিয়েছে। আর যারা এই বিষয়ে কথা বলেছে এমনকি পরামর্শ দিয়েছে অথবা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে তাদেরকে জেলে পুরেছে। সেই সংস্কৃতির আর পুনরাবৃত্তি না ঘটুক। যদি ঘটে তাহলে আবার ঐ একই পরিণতি অপেক্ষা করছে। কথায় আছে খেতের ইটা খেতেই ভাঙ্গে। তাই খেতের ইটা খেতেই ভাঙ্গার পরিণতিতে আর কেউ যাতে না পড়ে সেই দোয়া মোনাজাত অব্যাহত।
বর্তমান অরাজনৈতিক সরকারকে সমর্থন ও সহযোগীতা অব্যাহত রাখুন এবং আগামীর নতুন বাংলাদেশকে ইতিবাচক সকল আশায় আশার আলোয় ভরিয়ে তুলুন। বিগত সরকারের ভুলগুলো থেকে যেনো বর্তমানের অরাজনৈতিক সরকার দুরে থাকে এবং অন্যদেরকে রাখে সেই ব্যবস্থায় সকলেই মনযোগী হউন। নতুবা পাপে বাপেরেও ছাড়েনার ঝড়ে ঝড়ো গতিতে পতিত হবেন। তাই সাবধান হউন এবং সাবধান করুন। এই বিশ্বাস ও ভরসা এবং নির্ভরতায় আগামীর নতুন রাজনীতির সকল অরাজনৈতিকতা প্রকাশিত হউক। আমীন\