রাইসলাম॥ ‘শহরের রাস্তা বেহাল কেন?’ ‘স্যার, বৃষ্টির কারণে..’
‘বৃষ্টি তো সারা বাংলাদেশে অনেক হচ্ছে..’
‘স্যার.. স্যার…’
‘ছয় কোটি টাকা কী করছো?’
‘স্যার ন্যাশনাল হাইওয়েতে সাড়ে তিন কোটি…’
‘ছয় কোটি টাকা কী করছো? নিশ্চয়ই ভাগাভাগি করছো বৃষ্টির মধ্যে…’
গত বুধবার সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন সড়ক পরিদর্শন করতে গিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামালকে এসব প্রশ্ন করেন। ওবায়দুল কাদের সড়কের অবস্থা দেখে বেশ বিরক্তি প্রকাশ করেন। ওই সড়কে দাঁড়িয়েই ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চিফ ইঞ্জিনিয়ার (প্রধান প্রকৌশলী) ও সচিবকে বলে দাও দিস ম্যান (আবু হেনাকে দেখিয়ে) তাঁকে আমি প্রত্যাহার করলাম। সে প্রত্যাহার এবং অ্যাডিশনাল চিফ (অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী) ও সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) এ দুজনকে শোকজ।’ দুপুরে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে হাটিকুমরুল গোল চত্বরে এসে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১০ দিন সময় দিলাম। এ ১০ দিনের মধ্যে সিরাজগঞ্জের বগুড়া পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা কোথাও যদি বেহাল থাকে তবে কিন্তু শাস্তি অবধারিত। ১০ দিন সময় দিলাম। এর মধ্যে বেহাল রাস্তা সচল করো। এ ব্যাপারে আর কোনো আপস নেই। কোনো কথা নেই।’
কারণ দর্শানোর জন্য বলা ওই দুই কর্মকর্তা হচ্ছেন সওজের রাজশাহী জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রওশন আলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান। মহাসড়ক পরিদর্শনের সময় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, শাহজাদপুরের সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপন, সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক কামরুন্নাহার সিদ্দিকা, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদসহ সরকারি কর্মকর্তারা।