প্রশান্তি ডেক্স ॥চলমান উত্তেজনা প্রশমনে গত সোমবার (৪ আগস্ট) আলোচনা শুরু করেছেন থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকের আগে প্রাথমিক পর্যায়ের এই বৈঠক হচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সীমান্তবর্তী দুদেশের মধ্যে আকস্মিক শুরু হওয়া সংঘর্ষ পাঁচ দিন চলার পর গত সোমবার মালয়েশিয়াতে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের উপস্থিতিতে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এক সপ্তাহ পরও তাদের মধ্যে নাজুক ওই চুক্তি বহাল আছে।
যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার জন্য সাধারণ সীমান্ত পরিষদের (জেনারেল বর্ডার কমিটি) বৈঠকে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে সংশ্লিষ্ট দেশের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময়ের পর শুরু হওয়া রক্তক্ষয়ী ওই সংঘাতে প্রতিবেশী দেশদুটো আর্টিলারি ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ৪৩ জনের প্রাণহানির সঙ্গে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছেন।
তবে চলমান আলোচনা সত্ত্বেও দুদেশের মধ্যে আস্থাহীনতা সময়ে সময়ে প্রকাশ পাচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, বিবদমান সীমান্ত এলাকায় খননযন্ত্র ব্যবহারের পাশাপাশি কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে থাইল্যান্ড।
এদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে থাইল্যান্ড বলেছে, উল্লেখযোগ্য কোনও পদক্ষেপ এড়িয়ে উভয় পক্ষই নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে।
বরং থাই সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র, রিয়ার অ্যাডমিরাল সুরাসান্ত কংসিরি পালটা অভিযোগ করেছেন, কম্বোডিয়া বাহিনী তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেনা মোতেয়েন করেছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
ওদিকে কম্বোডিয়া দাবি করেছে, থাইল্যান্ড যেন তাদের ১৮ জন বন্দি সেনাকে দ্রুত মুক্তি দেয়। থাইল্যান্ড জানায়, তাদের ‘যুদ্ধবন্দি’ হিসেবে ভালোভাবে রাখা হয়েছে এবং পুরোপুরি যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের মুক্তি দেওয়া হবে না।