ঠাকুরগাঁওয়ে চাষ হচ্ছে অষ্ট্রেলিয়া ও ফিলিপাইন জাতের আখ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন ও দেশীয় উদ্ভাবনী এ তিন জাতের আখ চাষ করে কৃষকের দোরগোড়ায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক সুগার ক্রপস গবেষণা ইনস্টিটিউট। গবেষণা মাঠে সাফল্যের পর এসব আখ এখন পৌঁছাচ্ছে কৃষকের ক্ষেতে।

গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর ধরে ঠাকুরগাঁও মাদারগঞ্জে কুইন্সল্যান্ডের কিউ-৬৯, ঈশ্বরদী গবেষণা কেন্দ্রের বিএসআরআই-৪১ (অমৃত) এবং ফিলিপাইনের ব্ল্যাক রুবি জাতের আখ চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে কিউ-৬৯ জাতটি পুষ্টিগুণে ভরপুর ও চিবিয়ে খাওয়ার উপযোগী। মাঠ পর্যায়ে সাফল্য পাওয়ায় শিগগিরই এটি কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিএসআরআই-৪১ জাতের আখ গুড় উৎপাদনের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। অন্যদিকে ফিলিপাইনের ব্ল্যাক রুবি জাতের আখ ইতোমধ্যে রংপুর বিভাগের গোবিন্দগঞ্জসহ কয়েকটি জেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। নরম, সুস্বাদু ও রসে ভরপুর এই আখ ফিলিপাইনে ‘কালো আখ’ নামে পরিচিত। পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে সরকারের কৃষিবান্ধব পুষ্টি বাগানে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

ভূল্লী থানার কুমারপুর গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলাম জানান, নতুন জাতের আখ চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছি। হরিপুর উপজেলার খলোরা গ্রামের কৃষক তৈবুর রহমান বলেন, ব্ল্যাক রুবি আখের রস ও স্বাদ অসাধারণ। বাজারে বিক্রিও ভালো হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও বাংলাদেশ সুগার ক্রপস গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মো. সোহরাব হোসেন বলেন, তিন জাতের আখের চাহিদা বাজারে দিন দিন বাড়ছে। এটি কৃষকের লাভ বাড়াবে এবং পুষ্টি ঘাটতিও কমাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.