আগুন সন্ত্রাসের দুনিয়ায় আবারো বাংলাদেশ

চারিদিকে আগুনের লেলিখান শিখা আর মরনাস্ত্রের ঝনঝনানি থেকে বোমারুদের বোমা ফাটানোর আওয়াজ ও ধোয়ায় এখন জনজীবন অতিষ্ঠ হতে শুরু করেছে। মানব মনের আতঙ্কের প্রখর এখন বাস্তবে উপভোগ করতে শুরু করেছে। এই যাত্রায় রেহাই শব্দটি মনে হয় উবে যাবে। প্রফেসর বলে কথা। তিনিতো সবকিছুতেই সতেজ এবং তুলে আনতে ও খুঁজে বের করতে প্রস্তুত। আর এই প্রস্তুতিই বাঙ্গালীর জন্য সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এখন এই কঠিন সময়টুকু পাড়ি দেয়ার এখতিয়ার জনাব প্রফেসর ইউনূছ মহোদয়ের নেই। আগুন সন্ত্রাস নামকরণের শ্রষ্টাই যখন পারেনি আর এখন তিনি কি করে পারবেন।

জনাব ইউনূছ সাহেবের হাতে বাংলাদেশ দিয়েছিল আপামর জনতা। সেখানে সকল দল ও মতের মানুষজন ছিল। কিন্তু জনাব ইউনূছ সাহেব আবার দেশকে বিভাজনে বিভক্ত করে মহা বিপদকে আরো বেগবান করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তিনি পারতেন বাঙ্গালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে। তিনি পারতেন সকল দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য স্বচ্ছ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে। তিনিই পারতেন জাতিকে উদ্ধার করতে। কিন্ত তিনি তা করলেন না বরং বিভেদ আরো বাড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছেন। অপরাধী অপরাধীই; তিনি যে দলেরই হোকনা কেন। অপরাধীদের বিচার হউক এটা স্বয়ং খোদা থেকে শুরু করে সাধারণ ও অতি সাধারণ এমকি নিচু শ্রেণী পেশার মানুষজনও চায়। কিন্তু এই চাওয়াতে ছেদ ঘটিয়েছেন জনাব ইউনুছ সাহেব। তবে এই আভাগা জাতিযে কবে পাবে মুক্তি তা আন্দাজ করে এমনকি গনক দ্বারা গণনা করে বলার কোন সুযোগ নেই। তবে মহান সৃষ্টিকর্তা হয়তো একদিন এই জাতিকে পথ দেখাবেন এবং কাউকে না কাউকে ব্যবহার করে উদ্ধার করবেন।

বাংলাদেশের মানুষ ক্রমান্বয়ে ভুলতে শুরু করেছিল আগুন সন্ত্রাস। জালাও পোড়াও এবং হরতাল লকডাউন এর রাজনীতি। কিন্তু তা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। এই মাথাচাড়া দেয়ায় যারা পানি ঢেলেছেন তারা কি জাতির বন্ধু না শত্রু তা ভেবে দেখার সময় ও সুযোগ জাতির সামনে হাজির হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অনলাইনে ডাক দিয়েই খালাস। শতভাগ লকডাউন পালন হয়েছে। ঝড়েছে প্রাণ ও ক্ষতি হয়েজে দেশের এমনকি জনগণের। কেন তৈরী হলো এই লকডাউন পরিস্থিতির। কেনইবা ডাক পড়লো আবার লকডাউনের? এই বিষয়গুলো ভেবে দেখা উচিত এবং এর থেকে শিক্ষা নিয়ে জাতি যেন লকডাউনবিহীন নিরবচ্ছিন্নভাবে সামনে এগুতে পারে সেই প্রক্রিয়া চালু করা দরকার। মনে রাখতে হবে মিডিয়া এবং স্যোসাল মিডিয়া এখন দুই ধরণের ভূমিকায় অবতীর্ণ। তাই এই দুই মিডিয়াকে একই লাইনে আনা সরকারের দায়িত্ব। কন্ঠরোধ নয় বরং কন্ঠকে অভয়ারণে পরিণত করেই এক জায়গায় দাঁড় করানো যায়। এই প্রচেষ্টায় দায়িত্বরতরা আন্তরিকতার সহিত অগ্রসর হলে হয়তো সম্ভব। তবে বলে রাখা ভাল কঠোরতায় কখনো সম্ভব নয়। যার শিক্ষা গত পরাজিত সরকারের দৃষ্টান্তে দেখা যায়।

অস্বিকার এবং একে অপরের উপর দোষ চাপানো সংস্কৃতি থেকে এখনও বের হয়ে আসতে পারেনি সরকার, সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক দলগুলো। এই চর্চার অবসান আশু প্রয়োজন। এই চর্চায় শয়তানআশ্রিত। তাই শয়তানের সঙ্গে বসবাস বন্ধ করতে হবে এবং সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে বসবাস শুরু করতে হবে। শয়তানের শয়তানিতে ধ্বংস অনিবার্য আর সৃষ্টিকর্তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে শান্তি ও নিশ্চয়তা এবং স্থিতিশীলতা সুনিশ্চিত। পুরানো সংস্করণে আর ফিরে যাওয়া উচিত নয় তাই নতুন সংস্কৃতি চালূ এবং সততা ও ন্যায়পরায়নতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা স্থাপনে স্ব স্ব ভূমিকা রাখা এখন জরুরী। মানুষ মিথ্যা এবং সত্যকে এখন পার্থক্য করতে শিখছে এবং দুচোখে দেখছে আর কানে শুনছে। তাই মিথ্যার আবরণে এবং অস্বিকার ও দোষারুপের মাধ্যমে পথচলা বন্ধ করুন। এতে করে গ্রহনযোগ্যতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা শুন্যের কৌটায় গিয়ে জমাটবাধে। তাই শুন্যের নিচে আর নামার চেষ্টা কেউই করবেন না। অতীত থেকে শিক্ষা নিন। অতীতকে ভুলে নতুন অতীত সৃষ্টি করা কি যায় না? তাই এখনই সাবধান হউন।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আমাদের সরকারও লকডাউনে দিশেহারা। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বলা যায় এই লকডাউন জাতিকে নাড়া দিয়েছে। ভয়ের সংস্কৃতি এবং আতঙ্কে জাতির ২৪টি ঘন্টা অতিবাহিত হয়েছে। তবে সরকার প্রধান জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়েও জাতিকে সঠিক সময়টুকু পূর্বে থেকে জানাতে পারেনি। হঠাৎ ভাষন দিয়ে বসেছেন। যা কেউ শুনেছেন আর কেউ শুনেননাই। তবে এর নিয়ম হলো পূর্বে থেকে সময় তারিখ স্থির করে দেয়া এবং সেই সময় জাতির সকলে মনযোগে একসঙ্গে ঐ ভাষণ শোনা আর রেওয়াজ অনুযায়ী সবাই তাই শুনত। বর্তমানে ব্যতিক্রম হলো মাত্র। তবে সরকারে যারা রয়েছেন তারা শান্ত থাকুন এবং স্থিরভাবে স্বাভাবিক কাজকর্ম পরিচালিত করুন। নতুবা আরো কঠিন কোন বিতর্কে এমনকি সমস্যায় জাতিকে ফেলতে পারেন। যার মাধ্যমে জাতির ভাগ্যাকাশে অন্ধকার ছেয়ে যাবে। তবে ভবিষ্যতের অন্ধকার ঘোছানোর মতো কেউ এখনও অগ্রসর হয়নি; তাই জাতি হতাশ।

আমাদের আশা ও আকাঙ্কা এবং প্রত্যাশা এই অন্তবর্তী সরকারের নিকট। আপনারা কোন দল বা মতকে বাইরে রেখে নয় বরং ঐক্যবদ্ধ করে আগামীর নির্বাচন সম্পন্ন করুন। এটি জনআকাঙ্কা। এদেশের মানুষ চায় সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশটিকে এগিয়ে নিতে। কোন বিভেদ নতুন করে সৃষ্টি করতে নয় বরং অতিতের বিভেদগুলোকে গুচিয়ে নিয়ে সবাই এই দেশের মালিকানা নিয়ে অগ্রসর হতে। সবাই মিলেই এই দেশটাকে উন্নতির সোপানে পৌঁছে দিতে। অতিতের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতকে সাজাতে। তাই আমাদের এই অনুরোধে কান দিন এবং যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিন। শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিশ্চয়তা আর নিরাপত্তায় এই দেশকে অভয়ারণ্যে পরিণত করুন। যিনি শান্তিতে নোবেল জয়ী তিনি কি করে জাতিকে বিভাজনের আশান্তিতে রেখে প্রস্থান নিতে যাচ্ছেন? বরং তাঁর উচিত দেশকে পুর্ণ শান্তি ও স্থিতিশীলতায় ভরপুর করে একটি দৃষ্টান্ত রেখে নিজের গন্তব্যে ফিরে যাওয়া। আপনার অর্জিত শান্তির নোবেলে অশান্তির কালো দাগ যুক্ত করবেন না বরং সকলকে নিয়েই শান্তির বীজ বপনে মনযোগী হউন। এই কামনা করেই সকলের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে করজোরে মোনাজাত অব্যাহত রাখছি। আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হউন\

Leave a Reply

Your email address will not be published.