প্রশান্তি ডেক্স ॥ ড্যানিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি মিসেস লিনা গ্যান্ডলস হ্যানসেন গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার উপস্থিত ছিলেন। এর আগে লালদিয়া কন্টেইনার টার্মিনাল (এলসিটি) প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে স্টেট সেক্রেটারি হ্যানসেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা লালদিয়া কন্টেইনার টার্মিনাল (এলসিটি) প্রকল্পে ড্যানিশ কোম্পানি এপিএম টার্মিনালের ৫৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা তুলে ধরেন, যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় একক ইউরোপীয় বিনিয়োগ।
চুক্তির জন্য ডেনমার্ককে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। বাংলাদেশের প্রতি ডেনমার্কের দীর্ঘদিনের সমর্থনের কথা স্বীকার করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নীত হওয়ার পর বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডেনমার্কের সহায়তার অনুরোধ জানান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগের সুযোগ, জ্বালানী দক্ষতা, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সহযোগিতার কথাও তুলে ধরেন।
জবাবে ড্যানিশ স্টেট সেক্রেটারি হ্যানসেন অন্তবর্তী সরকারকে একটি শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ও ন্যায়সঙ্গত বাংলাদেশ গড়ার পথে সহায়তা করার জন্য ডেনমার্কের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, এলসিটি প্রকল্প আমাদের সম্পর্কের একটি নতুন পর্বের সূচনা এবং এই সহযোগিতা দু’দেশের জনগণের সুবিধার জন্য দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে মূল্যবোধ যোগ করবে। তিনি কক্সবাজারের কাছে প্রস্তাবিত ৫০০ মেগাওয়াট অফশোর উইন্ড পাওয়ার প্রকল্পে সম্ভাব্য ডেনিশ বিনিয়োগ সম্পর্কেও উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিক অগ্রগতিতে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।