ওয়াজেদ হাসান শাওন॥ রক্তাক্ত যে মানুষটিকে দেখা যাচ্ছে, তিনি মাহবুব। তিনি নেত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের একজন। ২১ আগষ্ট, কি কারণে যেন নেত্রী মাহবুব সাহেবের উপর ভীষন মন:ক্ষন্ন ছিলেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের সমাবেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নেত্রী যখন সুধাসদনের দ্বোতলার সিঁড়ি থেকে নিচে নামছেন, ঠিক তখনি সামনে উপস্থিত হলেন মাহবুব ভাই। ন্ত্রেী সিঁড়ি ভেঙ্গে নিচে নামছেন আর রাগতস্বরে মাহবুব ভাইকে বলছেন “তুমি আজকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যাবে না। আমি যেন তোমাকে সেখানে না দেখি।” শুনে মাহবুব ভাই মাথা নিচু করে শাসন মেনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। নেত্রীর গাড়ি রওনা দেওয়ার সাথে সাথে দ্রুতবেগে মাহবুব ভাইও বেরিয়ে গেলেন। চুপিসারে নেত্রীর দৃষ্টির আড়ালে তিনিও পৌঁছিলেন সমাবেশ মঞ্চের নিকটে।
গ্রেনেড হামলা শুরুর সাথে সাথে জানবাজি রাখা নেতৃবৃন্দের সাথে মানববুহ্য তৈরী করে নেত্রীকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে গাড়িতে তুলে দেবার প্রাক্কালে নেত্রীকে টার্গেট করে ছোঁড়া ঘাতকদের গুলি এসে লাগে মাহবুব ভাইয়ের গায়ে। নেত্রী বেঁচে গেলেন, প্রাণ দিলেন মাহবুব ভাই। সেদিন নিজের প্রাণের বিনিময়ে মাহবুব ভাই বাঁচালেন গণতন্ত্রের মানসকণ্যাকে, বাঁচালেন দূ:খিনী বাংলার দিনবদলের নেত্রীকে। বাঁচালেন প্রিয় মাতৃভূমিকে।
সুধাসদনে ফিরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে নেত্রী বললেন, “যে মাহবুবকে আমি যাওয়ার আগে রাগারাগি করলাম, প্রোগ্রামে যেতে নিষেধ করলাম, সেই মাহবুবই আজ আমাকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিলো”
এটাই দায়িত্বের দৃষ্টান্ত এবং একেই বলে সততা ও বিশ্বস্ততা। কর্তর্বের দৃঢ়তা এবং শ্রদ্ধাবনত ভালবাসা। এই ভালবাসাই পারে সকল অমঙ্গলকে মঙ্গলে পরিণত করতে। আর তাই নেত্রী কৃতজ্ঞচিত্তে বহন করছেন মাহবুব ভাইয়ের পরিবারের সকল দায়দায়িত্ব। মাহবুব ভাই মনে নাই দৃষ্টান্ত হিসেবে বেঁচে আছে ষোর কোটি বাঙ্গালীর হৃদয়ে। সালাম ভাই, হাজারো ছালাম। নেত্রীর জন্য আজা লক্ষ কোটি মাহবুব প্রস্তুত সুতরাং আর নয় চক্রান্তকারীর হাতে ও চক্রান্তের কাছে পরাজয়।