রা ইলাম ॥ ‘হে আল্লাহ্, তোমার কাছে বিচার দেয়া থাকল, তোমার হাবিবের কবর দেখার অনেক ইচ্ছা ছিল, কিন্তু যেতে পারলামনা’ এভাবেই অসহায়ের মতো কান্নাজড়িত কন্ঠে আহাজারি করছিলেন হজে যেতে না পারা এক বয়বৃদ্ধ। জীবনের শেষ সঞ্চয় দিয়ে শেষ ইচ্ছাটুকু না পূরণ হওয়ার জন্যেই তার এ আকুতি। অভিভাবকহীন এই মানুষগুলো এখন সবচেয়ে অসহায়ের মতো অবস্থা অনুভব করছে।
ভিসা থাকার পরেও টিকিট সংক্রান্ত জটিলতার কারণে শেষ পর্যন্ত ১২২ জন হজে যেতে পারছেনা বলে নিশ্চিত হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের চেষ্টা করা হলেও শেষ ফ্লাইটে আর কোনো হজ যাত্রীকে বহনের অনুমতি দেয়নি সৌদি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
এ অবস্থায় সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এবার যারা হজে যেতে পারলেন না আগামীবতে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। দায়ী হজ ও ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান জানালেন কর্তৃপক্ষ। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, হজ এজেন্টদেরকে ধরে আনতে আমাদেরকে শেষ পর্যন্ত র্যাব এর সাহায্য নিতে হয়েছে। যে সমস্ত এজেন্সি এধরনের ভোগান্তির জন্যে দায়ী তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৯৮ জন হজ যাত্রীর হজে যাওয়ার কথা ছিল। শেষ পর্যন্ত হজে যেতে পেরেছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১০৩ জন।