নয়ন॥ সকল দলের অংশগ্রহণে একটি প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে সম্ভব এই চ্যালেঞ্জে আন্তর্জাতিক মহলের আস্থা অর্জন করতে চাইছে সরকার। পশ্চিমা ও গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে এ নিয়ে যোগাযোগ ও আলোচনা অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্র জানায়।
সরকারের ওপর মহল থেকে বরাবর বলা হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ ও সকল দলের অংশগ্রহণে। এদিকে, আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচন একদিকে গ্রহণযোগ্য করা অন্যদিকে জনমত নিয়ে বিজয়ী হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
দলীয় সূত্র জানায়, সরকারের বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প জাতীয় নির্বাচনের আগেই যেমন সম্পন্ন হবে তেমনি অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজও শুরু হবে। এতে উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ এই স্লোগান নিয়ে জনমতও পক্ষে টানতে পারবে। একদিকে, আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করা অন্যদিকে বির্তকিত, জনবিচ্ছিন্ন শতাধিক আসনে প্রার্থী বদল করে গ্রহণযোগ্য, জনপ্রিয়, জনমত জরিপে এগিয়ে থাকাদের মনোনয়ন দানের প্রক্রিয়া চলছে।
দলের নেতারা মনে করেন, উন্নয়নের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুর মতো বিষয়ে লাখ লাখ শরনার্থীকে একদিকে আশ্রয় দান অন্যদিকে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার গণহত্যার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী জনমত গঠনে ভূমিকাই রাখেননি, দেশের জনগণের আবেগ অনুভূতি ঘিরে নিজের জনপ্রিয়তা অনেকটাই বাড়িয়েছেন। শেখ হাসিনার ইমেজের ওপর ভর করেই আগামী নির্বাচন পার হতে চায় আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্ণেল (অব.) ফারুক খান এমপি বলেছেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ দমন করতে আওয়ামী লীগকে আবারো মানুষ ভোট দিবে। শেখ হাসিনার মতো বিশ্বনেত্রী যেভাবে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাতে বিশ্বব্যাপী তার ইমেজ উজ্জল থেকে উজ্জলতর হয়েছে। আর বিশ্বব্যাপী আগামী নির্বাচনের আগে জনমত তৈরির লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল চীন যাচ্ছে। সেখানেও আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে বিশদ আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।